শিক্ষায় তথ্যপ্রযুক্তির অবারিত সুযোগ কাজে লাগাতে হবে: প্রাথমিক সচিব
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৫৪ PM , আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৫৪ PM
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, শিক্ষায় তথ্য-প্রযুক্তির অবারিত সুযোগ কজে লাগিয়ে সু-সমন্বিত, আকর্ষণীয় ও কার্যকর শিখন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে। আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরে ঢাকা পিটিআই অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ স্কুল সেক্টর রেসপন্স (সিএসএসআর) প্রকল্পে শিখন ঘাটতি পূরণে প্রিন্টিং বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, তথ্য-প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে এর অবাধ ও ব্যাপক ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ শিক্ষকদের ক্লাস ও বিষয়ভিত্তিক মানসম্পন্ন কনটেন্ট রেডিও-টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারলে একদিকে শিশুরা যেমন একটি বিষয় সহজে অনুধাবন করতে সক্ষম হবে অন্যদিকে প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পাঠদানে শহর ও গ্রামের ব্যবধান কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
ফরিদ আহমেদ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী যে স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছিল, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়ও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় শিক্ষা ব্যবস্থা সচল রাখার চেষ্টা চালানো হয়। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষকদের পাঠদানে অভিজ্ঞতা তৈরি হয়েছে। অভিজ্ঞ শিক্ষকদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণে নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। নতুনভাবে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও পারদর্শী করে তোলা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিএসএসআর প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ভার্চুয়াল কনটেন্ট ও প্রিন্টেড সহায়ক বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেবো। প্রথমে সুবিধা বঞ্চিত এলাকার (হাওর-বাওর ও উপকূলীয় অঞ্চল) দেড় লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে এসব বই বিতরণ করা হবে। এসব বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন খেলা ও আনন্দদায়ক পাঠ যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা খেলার ছলে শিখতে পারবে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তেমনভাবে তৈরি করা হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে করোনাকালে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা তাদের ঘাটতি পূরণ করতে পারবে বলেও জানান তিনি।
২০২০ সালে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণে যখন অন্যসব কিছুর মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায় সে সময় শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি দূর করতে ইউনিসেফের সহযোগিতায় এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ১২৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পে শিক্ষকদের সাহায্যে বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করা হয় এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়, যা অব্যাহত আছে। এ ছাড়াও সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিভিন্ন পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন, মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক ড. প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দীলিপ কুমার বণিক ও সৈয়দ মামুনুল আলম, প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুল আমিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।