ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি ইশা আন্দোলনের
- ইলিয়াস শান্ত
- প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০৭:৫০ PM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৯, ০৮:২০ PM
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে দেশব্যাপী শিশু ধর্ষণ ও হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশ করার দাবীতে নির্বাক পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম এ দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসি চত্বর থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম বলেন ধর্ষকের কোন ধর্ম নেই। তারা যে ধর্মের আবরনেই থাকুক না কেন, তাদের প্রকৃত পরিচয় তারা ধর্ষক এবং বিকৃত রুচিবোধের অপরাধী। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রায় ৭০ শতাংশ শিশু তার প্রতিবেশী, আত্মীয়, বন্ধু বা তাদের শিক্ষক দ্বারা ধর্ষণ, হত্যা ও যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে।
তিনি বলেন এটা কোন সভ্য সমাজের কর্মকান্ড হতে পারেনা। সুতরাং চলমান শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা বন্ধ করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে বিচার কার্য সম্পন্ন করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান কার্যকর করতে হবে।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ বলেন ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৩৭ জন। যার মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জন শিশুকে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৫৩টি শিশু। এ ধরণের ঘটনা কোন সভ্য সমাজে শোভা পায়না। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে দেশে ফাঁসির রায় কার্যকর করলে এমনিতেই ধর্ষণের হার হ্রাস পাবে বলে আমরা আশাবাদী। সুতরাং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবি পেশ করছি।
ঢাবির টিএসসি চত্বর থেকে নির্বাক পদযাত্রা বের হয়ে দোয়েল চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এসময় মিছিলকারীদের হাতে ধর্ষণ বিরোধী এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির আইন পাশ ও তা কার্যকর করার দাবী সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহের সঞ্চালনায় নির্বাক পদযাত্রা পরবর্তী সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, প্রকাশনা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, কলেজ সম্পাদক এম এম শোয়াইব, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য এম এ হাসিব গোলদার, ঢাবি শাখা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মাহদী হাসান, উত্তর সভাপতি মুনতাসির আহমাদ, দক্ষিণ সভাপতি আল আমিন সিদ্দিকীসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।