সিদ্ধান্ত জানালেন এনসিপির আরেক নেত্রী, রইলেন বাকি এক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ PM , আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৬ PM
তিনদিন আগে গত ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির ছয় নেত্রী ফেসবুকে একটি ছবি (সেলফি) দিয়েছিলেন। দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম ছবিটি দিয়ে লিখেছিলেন, ‘ডিল ডান’। ঠিক ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দলটির জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করার কথাবার্তা চলছিল। এ ঘটনার তিনদিন পর আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি আলাদাভাবে জানিয়েছে তারা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবে।
ইতিমধ্যেই এই ইস্যুতে ওই ছয় নেত্রীর ৫ জনই এনসিপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা-না রাখার বিষয়ে জানিয়েছেন। সর্বশেষ আজ রাত ১০টার দিকে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম জানিয়েছেন, নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালে দলের সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করবেন। তবে অবস্থা পুনর্বিবেচনা ক্রমে যেকোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও তিনি জানান। ওই ছয় নেত্রীর মধ্যে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নাহিদা সরোয়ার নিভা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
সেলফিতে থাকা বাকি ৪ নেত্রী হলেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক তাজনূভা জাবীন ও মনিরা শারমিন।
এর মধ্যে এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন তাসনিম জারা ও তাজনূভা জাবীন। এই দুজনকে ঢাকা-৯ ও ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল এনসিপি। আর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মনিরা শারমিন। ১০ ডিসেম্বর নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে তাকে এনসিপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, সামান্তা শারমিনকে মনোনয়ন দেয়নি এনসিপি। জামায়াতের সঙ্গে গেলে দলকে কঠিন মূল্য দিতে হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তবে তিনি দল থেকে পদত্যাগের কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি।
এদিকে, আজ রাত ১০টার দিকে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে লেখেন, এনসিপি তার জন্মলগ্নে আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছে। গণতন্ত্রের সুষম চর্চা, নয়া বন্দোবস্ত, মধ্যপন্থা অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা, সভ্যতাকেন্দ্রিক সাম্রাজ্য সম্প্রসারণ এবং সর্বোপরি বাংলাদেশপন্থা নিয়ে। এই প্রতিটা শব্দ আমি আমার মননে, মগজে এবং যাপনে ধারণ করি, এই শব্দ গুলো আমার রাজনৈতিক স্বপ্ন। এনসিপির ঘোষণাপত্র থেকে শুরু করে এর সবগুলো লিটারেচার এই বক্তব্য ধারণ করে৷ এনসিপি গঠনের সময় এটি ঠিক তাই ছিল যা আমি চেয়েছিলাম।
তিনি লেখেন, আজ ২৮ ডিসেম্বর, ঠিক ১০ মাস পর জামায়াতে ইসলামীসহ ১০ দলীয় জোটে বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমি মনে করি এনসিপির সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ এবং নীতিনির্ধারকেরা নিজেরাই এনসিপির মূল বক্তব্য থেকে চ্যূত হয়েছেন।
‘বিশেষ করে, বিভিন্ন সময়ে জনাব আহ্বায়ক মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলদের আমরা ৩০০ আসনে প্রার্থী প্রদান করার ঘোষণা দিতে শুনেছি। এমতাবস্থায় তৃণমূল পর্যন্ত বিশেষ করে মনোনয়ন নেয়া ব্যক্তিগণের সাথে এই জোট ঘোষণার মাধ্যমে প্রবঞ্চনা করা হয়েছে বলে মনে করি।’
তিনি আরও লেখেন, এ সমস্ত ঘটনাবলির প্রেক্ষিতে আমি নুসরাত তাবাসসুম, (যুগ্ম আহ্বায়ক, জাতীয় নাগরিক পার্টি) নিজেকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচনকালে পার্টির সকল কার্যক্রম থেকে নিষ্ক্রিয় করছি। এবং অবস্থা পুনর্বিবেচনাক্রমে যে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ঘোষণা করছি।