নির্বাচনি টকশোতে প্রশ্ন করায় জুতা প্রদর্শন, হাতাহাতি-উত্তেজনা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৪৪ PM
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নির্বাচনি টকশোর ভিডিও ধারণের সময় ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে পূর্বের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে চরমোনাইয়ের এক সমর্থক প্রশ্নকারী তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থীকে জুতা প্রদর্শন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রামগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে স্টার নিউজের নির্বাচনি টকশোতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, স্টার নিউজের প্রতিবেদক ফারাবি হাফিজের উপস্থাপনায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী বিলুপ্ত বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, রামগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির ও দলীয় প্রার্থী নাজমুল হাসান পাটওয়ারী এবং ইসলামী আন্দোলনের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও দলীয় প্রার্থী জাকির হোসেন পাটওয়ারীকে নিয়ে এই টকশো আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন : ইসির কাছে নিরাপত্তা চাইলেন ফুয়াদ
প্রত্যক্ষদর্শী ও উপস্থিত রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা জানান, ঘটনার সময় তেজগাঁও কলেজের এক শিক্ষার্থী ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাকির পাটওয়ারীকে বিগত দিনে জাতীয় পার্টির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন। এসময় জাকির জানান যে, যদি জাতীয় পার্টির সদস্য ফরমও তার নামে থাকে তাহলে তিনি আর রাজনীতি করবেন না। এরমধ্যে ইসলামী আন্দোলনের (চরমোনাই) এক সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থী বা অন্য কারো উদ্দেশ্যে জুতা প্রদর্শন করে। এনিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। এপরই বিএনপির লোকজনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা, হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে চেয়ার ছোড়াছুড়িরও ঘটনা ঘটেছে।
স্টার নিউজের লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি আন নাজমুস সাকিব বলেন, তেজগাঁও কলেজের এক ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী জাকির হোসেন পাটওয়ারীকে বিগত দিনে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা নিয়ে প্রশ্ন করে। এ প্রশ্নকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি সমাধান করা হয়। বাইরে কোনো কিছু হয়েছে কি না তা জানা নেই।
আরও পড়ুন : রবের ডাকে হাদি সাড়া দিলে ছাত্র-জনতাকে শাহবাগে জড়ো হতে অনুরোধ ইনকিলাব মঞ্চের
ইসলামী আন্দোলনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। প্রশ্নটি পরিকল্পিত ছিল। এর প্রেক্ষিতে যে ঘটনা ঘটেছে তাও কাম্য নয়। এখানে আমাদের দলের কেউ যদি দায়ী থাকে, আমরা সে ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। পরবর্তীতে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও আমাদের কর্মীদের গায়ে হাত তোলা হবে কেন? পেশিশক্তি দেখানোর বহিঃপ্রকাশ নিয়ে আমরা শঙ্কিত।
রামগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, একটি ছেলে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীকে প্রশ্ন করায় চরমোনাইয়ের এক সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে জুতা প্রদর্শন করে। পরে আমরা তাকে শান্ত করার জন্য যাই। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কেউই কারো ওপর হামলা করেনি। আহত বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে ছেলে প্রশ্ন করেছে তাকেও আমরা কেউ চিনি না।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি প্রশ্নকে ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে তা সমাধানও হয়ে গেছে। এ ঘটনায় কেউ আহত নেই।