অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২

গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৮ নেতা গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

দেশব্যাপী চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে গাইবান্ধায় আবারও জোরালো অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। নাশকতা ও বিভিন্ন মামলার অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের অন্তত আট নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিশেষ এ অভিযানের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানের বার্তা দিয়েছে প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশের দাবি, নাশকতা ও অন্যান্য অভিযোগে এই কার্যক্রম চালানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার কার্যক্রম বুধবার বিকেল থেকে ভোর রাত পর্যন্ত গাইবান্ধা জেলা সদর, সাদুল্লাপুর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত হয়। সদর থানা থেকে ৩ জন, সাদুল্লাপুর থানা থেকে ৩ জন ও সুন্দরগঞ্জ থানা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুন্দরগঞ্জের সর্বানন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল খালেক ও বেলকা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম মিয়া। সাদুল্লাপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহ মো. ফজলুল হক রানা, একই উপজেলা যুবলীগের সদস্য সৈয়দ সবুক্তগিন সবুর ও সেলিম মিয়াকে তাদের বসতবাড়ি থেকে আটক করা হয়। গাইবান্ধা সদর থানার আওতায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন জেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ মিয়া। অন্য দুজনের পরিচয় এখনো স্পষ্টভাবে নিশ্চিত হয়নি।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুন নিশ্চিত করেন, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবেই এই আটকাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে।

এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিদ্রোহ কুমার কুন্ডু ব্যাখ্যা দেন, দেশব্যাপী চলমান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’-এর অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিতভাবে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও  তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!