শিক্ষকদের ২০% বাড়ি ভাড়া ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ করলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

হাসনাত আব্দুল্লাহ
হাসনাত আব্দুল্লাহ  © সংগৃহীত

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। পরে সেখানে পুলিশ বাধা দিলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কর্মসূচি পালন করছেন তারা। সারাদেশ থেকে আসা শিক্ষকরা যোগ দিয়েছেন কর্মসূচিতে।

এদিকে বিকেল ৫টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাদের অবস্থান কর্মসূচিতে একাত্মতা জানিয়ে শিক্ষকদের ২০% বাড়ি ভাড়া ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের শিক্ষক যারা আছেন তারা ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে অনেকে চাকরি শুরু করেন। আমার পরিচিত একজন শিক্ষক আছেন, ৩২ বছর ধরে চাকরি করেন। এই সময় পরে ওনার বেতন হয়েছে ২২ হাজার টাকা। এক কেজি ইলিশ মাছের দাম ২৮০০ টাকা। ৩১ বছর চাকরি করে যে বেতন হয় তার ১৫ শতাংশ দিয়ে এক কেজি ইলিশ কিনতে হয়। অথচ এই বেতনের ২০ শতাংশও বাড়ি ভাড়া দেয়া হয় না।

শিক্ষকরা বুক ফুলিয়ে সমাজে চলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষকদের সবসময় পরিপাটি হয়ে সমাজে থাকতে হয়। অন্য মানুষের মতো তারা থাকে না কারণ শিক্ষকরা সমাজে উদাহরণস্বরূপ। কিন্তু তাদের বেতন মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। পরিপাটি-ফিটফাট থাকলেও মাসের শেষ ১০ দিন শিক্ষকদের হীনমন্যতা নিয়ে চলতে হয়।

হাসনাত আরও বলেন, বিদেশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে শিক্ষাখাত। আর বাংলাদেশে সবার খাওয়া-দাওয়া শেষ করে যদি কিছু থাকে তাহলে তা শিক্ষকদের দেয়া হয়। শিক্ষকদের বেতন না দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের পড়াশোনা আশা করাকে রাষ্ট্রীয় প্রহসন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এনসিপির এই নেতা বলেন, আমি যদি শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক না করি তাহলে কীভাবে প্রত্যাশা করি তারা প্রথম শ্রেণির নাগরিক গড়ে তুলবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা ছিল তারা পুরুনো পথে হাঁটবে না বরং তারা হবে শিক্ষাবান্ধব সরকার। কিন্তু আমরা দেখলাম, এই সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হয়েছেন প্রমোশন বান্ধব সরকার। এই সরকারের প্রধান কাজ হলো পোস্টিং দেয়া। হাসিনার আমলে যারা রাস্তায় এসে তার পক্ষে স্লোগান দিয়েছিল অর্থের বিনিময়ে তাদের পদায়ন অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, রাস্তায় শিক্ষকদের যেভাবে পেটানো হয়েছে এটি কোনও সভ্য রাষ্ট্রীয় চরিত্র হতে পারে না। অনতিবিলম্বে এই হীন কাজের জন্য সরকারকে ক্ষমা চাইতে হবে। আর যাদের গ্রেফতার করেছেন তাদের সূর্য ডোবার আগে ছেড়ে দিতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ