যুবদল সভাপতির পোস্ট

যেদিন গভীর রাতে তারেক রহমান শেখ মুজিবের কবর জেয়ারত করেছিলেন

শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করছেন তারেক রহমান
শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত করছেন তারেক রহমান  © সংগৃহীত

রাজনীতিতে এখন চলছে গোপালগঞ্জ হামলা ইস্যু। গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) এনসিপির পদযাত্রায় হামলার বিষয়টি ইতোমধ্যেই এখন জাতীয় রাজনীতির খোরাক। এর মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। সেখানে তিনি তুলে এনেছেন গোপালগঞ্জে শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার গভীর রাতে তারেক রহমানের কবর জিয়ারতের ইস্যু। বলেছেন, রাজনীতিতে সে সময় এমন চমৎকার নজির সৃষ্টি হলেও তা মূল ধারার গণমাধ্যমে ওইভাবে উঠে আসেনি। 

মুনায়েম মুন্না ওই ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাস। ২৭ তারিখ। গভীর রাত। টুঙ্গিপাড়ায় বিএনপির প্রতিনিধি সম্মেলন শেষে ক্লান্ত তারেক রহমান সার্কিট হাউজে গেলেন বিশ্রাম নেওয়ার জন্যে। একটু পরেই তাঁর ঢাকা ফেরার কথা। ফেরার প্রস্তুতি চলছে। তারেক রহমান গাড়িতে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। আচমকা সবাইকে অবাক করে দিয়ে গাড়িবহর উল্টোদিকে চলা শুরু করলো। তারেক রহমানের সঙ্গে থাকা বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ গাড়িবহরের সাথে থাকা অন্যান্য নেতারা হকচকিয়ে গেলেন। তারা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কোথায় যাচ্ছে কেউ জানে না। 

প্রশ্নের জবাবে তারেক শুধু মুচকি হেসে বলেছিলেন, ‘আমরা এক জায়গায় যাব’। ব্যাস এতটুকুই। গভীর রাতে গাড়ি গিয়ে থামল শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে। এতক্ষণের সাসপেন্সের অবসান হল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারেক রহমান গাড়ি থেকে নেমে আসলেন। সমাধিস্থলের খাদেমকে ঢেকে তুললেন। সাথে থাকা নেতা কর্মীদের নিয়ে শেখ মুজিবর রহমানের কবর জিয়ারত করলেন তিনি।

মুন্না আরও লিখেছেন, বাংলাদেশের কদর্য আর কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে যে কয়টা সুন্দর দৃশ্য আছে তার মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম দৃশ্যটির জন্ম হলো তারেক রহমানের হাত ধরে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে ওই সময় এরকম প্রশংসনীয় একটি ঘটনা মিডিয়ায় সেইভাবে আসেনি। কারণ তখন ওই ঘটনাটি ছিলো টপ সিক্রেট। তারেক রহমান যখন শেখ মুজিবের কবর জিয়ারত করতে যান তখন তাঁর সাথে এমনকি কোন মিডিয়াকর্মীও ছিলোনা। তারেক রহমান প্রচার চাননি, তিনি এমনকি এই ঘটনা নিয়ে কোন রাজনীতিও করতে চাননি।


সর্বশেষ সংবাদ