জাতীয় সংলাপ চা-নাস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখার আহ্বান রাশেদ খাঁনের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৮:২৬ PM , আপডেট: ২৮ মে ২০২৫, ০১:০৪ AM
বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, জাতীয় সংলাপ যাতে চা নাস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে কি সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটি জাতিকে জানান। নতুবা এই সংলাপ ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৪টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা; সংস্কার ও বাস্তবতা নিয়ে পেশাজীবীদের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদ। এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারকে বলবো জাতীয় সংলাপ যাতে চা নাস্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। দলগুলোর সাথে আলোচনার ভিত্তিতে কি সিদ্ধান্ত নিলেন, সেটি জাতিকে জানান। নতুবা এই সংলাপ ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা নিয়ে এতে গড়িমসি কেন? জাতিকে অন্ধকারে রেখে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সংস্কার করা যায় না। সংস্কারের জন্য স্বচ্ছতা ও পরিকল্পনা লাগে। ১০ মাসে কি সংস্কার করলেন? পদত্যাগ নামে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার মধ্যে নিশ্চিত কোন রহস্য আছে। নতুবা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন কিভাবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মুখ থেকে শুনতে হয়? কেন তিনি পদত্যাগ করবেন? তার পদত্যাগ কি কেউ চেয়েছে? বরং এই জাতি তাকে সম্মানিত করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া বাকিদের পারফরম্যান্স তো দেখিনা? এই অযোগ্য উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে টিম জেতা যাবেনা। প্রধান উপদেষ্টা মাঝেমধ্যে ৪ বা ৬ মারছে৷ জাতির মধ্যে এতে নতুন উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু দেখলাম তো বাকিদের ১০ মাসের ব্যর্থতা। এভাবে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন কোনোটাই সঠিকভাবে হবেনা। সঠিকভাবে সবকিছু করার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি। কিন্তু সেদিকে মনোযোগ নেই, সরকার বিদেশিদের তাবেদারি করতে করিডর, বন্দর দেওয়ার খেলায় মেতেছে। আবার বিনিয়োগ আসবে, রোহিঙ্গা ফেরত যাবে কতশত কথার ফুলঝুরি!
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, সরকারকে বলবো, যতোটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন, ততোটুকু স্বপ্ন দেখান। অতিরিক্ত স্বপ্ন দেখিয়ে, সেটির বাস্তবায়ন না করতে পারলে পরে জাতি হতাশ হবে। আমরা কেউ বলি নাই, সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন দিয়ে দেন। তবে একটার সাথে আরেকটা মুখোমুখি করবেন না।
গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, একটা গোষ্ঠী সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি করার চেষ্টা করছে। আমরা সংস্কার, বিচারের এবং নির্বাচনের বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে চাই। গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নাই। এমনকি গণহত্যার মামলার অনেক আসামি ইতোমধ্যে জামিন পেয়েছে, এটা শঙ্কার বিষয়।তারা এভাবে জামিন পেলে জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিপদ আসতে পারে এমনকি এটা আবার নতুন করে গণহত্যাও চালাতে পারে।
এছাড়া, বাংলাদেশ পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সভাপতি ডেন্টিস্ট জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য প্রদান করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লতিফ মাসুম, পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ইমরান হোসাইন, ড. এ্যাড. মোহা. শরিফুল ইসলাম, এ্যাড. মেহেদি হাসান, মনিরুল মাওলা, জি এম রোকোনুজ্জামান, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান বাপ্পী, মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি আবির আহমেদ সবুজ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খালিদ হাসান।