ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের আপসারণের দাবি
- গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৭ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৭ PM

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ওএমএস ও ফেয়ার কার্ডের ডিলার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অপসারণসহ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান ও উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান সিকদারের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে দ্রুত তাদের অপসারণের দাবি জানান।
সূত্র জানায়, উপজেলায় ৮টি ওএমএস ডিলারের জন্য ৩০টি এবং ১২টি ইউনিয়নের ৬৮টি ফেয়ার কার্ডের জন্য ৩০৬টি আবেদন জমা পড়ে। তবে আবেদন প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বাছাইপ্রক্রিয়া লটারির মাধ্যমে না হয়ে সিলেকশন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
গলাচিপা পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইমুন হাসান পরশ অভিযোগ করেন, ‘সরকারি নিয়মে লাইসেন্সের জন্য ফি ও ভ্যাটসহ ১,৬৯০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও প্রতিটি আবেদন থেকে ৩,৫০০ থেকে ৩,৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে।’
গোলখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তালেব বলেন, ‘খাদ্য কর্মকর্তা লাইসেন্সের জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম, তবুও লাইসেন্স পাইনি।’
রাশেদুল ইসলাম তালুকদার নামে এক আবেদনকারী বলেন, ‘খাদ্য কর্মকর্তা ডিলারশিপ দেয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এখন আমি ডিলার পাইনি। আমার টাকা ফেরত চাই এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তার অপসারণ চাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, ডাকুয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকার সাইদুল ইসলাম এলাকায় থাকেন না এবং কোনো দোকান বা গুদাম না থাকা সত্ত্বেও তিনি লাইসেন্স পেয়েছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী জুবায়ের আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে ইউএনও ও খাদ্য কর্মকর্তার অপসারণ চাই।’
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান সিকদার অর্থ লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ডিসি ও ইউএনও’র নির্দেশেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।’
গলাচিপার ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‘মূল্যায়নের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের ডিলারশিপ দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, ‘উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। ডিলার নিয়োগে কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’