সারা বিশ্বে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের বিক্রি বন্ধের ঘোষণা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ০৫:০৯ PM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২২, ০৫:০৯ PM
সারা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জনসন অ্যান্ড জনসন। এই পাউডারে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান নিয়ে আগেই বিশ্বজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই বিতর্কে কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটি।
গত বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) এই ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প প্রতিষ্ঠানটি। বছর দুয়েক আগে সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনি জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্রে ট্যালক-নির্ভর পাউডার বিক্রি বন্ধ করেছিল জেঅ্যান্ডজে। এবার সারা বিশ্বের জন্যই একই পদক্ষেপ নিতে চলেছে তারা। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাজার হাজার ভোক্তা নিজেদের সুরক্ষায় মামলা দায়ের করার পর ২০২০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ রয়েছে। আর এর দুই বছরেরও বেশি সময় পর এবার ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই পণ্যটি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।
এক বিবৃতিতে জেঅ্যান্ডজে কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে ট্যালকম পাউডার বিক্রি পুরোপুরি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এরপর থেকে শতভাগ কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার উৎপাদন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: ক্যাবল ছাড়াই মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ফাইল ট্রান্সফার করবেন যেভাবে
রয়টার্স বলছে, জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। আর তাই দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে এই উপাদান থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী ক্যান্সার। মূলত এই কারণেই কোম্পানিটি ভোক্তাদের কাছ থেকে প্রায় ৩৮ হাজার মামলার সম্মুখীন হয়েছে।
এছাড়া ভোক্তাদের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা দাবি করেছেন, জনসনের ট্যালক পণ্যে থাকা অ্যাসবেস্টসের মাধ্যমে দূষণের কারণে ক্যান্সার সৃষ্টি করেছে। অ্যাসবেস্টস মূলত কার্সিনোজেন নামে পরিচিত। মূলত অ্যাসবেস্টস থেকে নানা ধরনের ক্যান্সার হয়। তাই অ্যাসবেস্টসকে বলা হয় ‘কার্সিনোজেন’।
রয়টার্স বলছে, ১৮৯৪ সালে বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকে জনসনের বেবি পাউডার মূলত এই কোম্পানির পরিবার-বান্ধব ভাবমূর্তির প্রতীক হয়ে ওঠে। তবে জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অ্যাসবেস্টসের উপস্থিতির বিষয়টি ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রথম জনসমক্ষে আনে রয়টার্স।
মূলত প্রভাবশালী এই বর্তাসংস্থায় সংবাদ প্রকাশের পরই বিশ্বজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। এতে করে ব্যাপক ধাক্কা খায় জনসনের ব্যবসা। এরই ধারবাহিকতায় শতাব্দী প্রাচীন এই শিশু-দ্রব্যের খ্যাতনামা সংস্থাটির বাজার দর হু হু করে পড়ে যায়।