ব্রিটিশদের শাসন করবেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২২, ১১:৫৫ AM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২, ১১:৫৫ AM
যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌঁড়ে একধাপ এগিয়ে সাবেক ভারতীয় বংশোদ্ভুত অর্থমন্ত্রী রিশিক সুনাক। পরবর্তী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে এমপিদের প্রথম দফা ভোটে জয়ী হন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
দলের নেতা নির্বাচনে কনজারভেটিভ এমপিরা বুধবার (১৩ জুলাই) প্রথম দফা ভোট দেন। তাতে ৮৮ ভোট পেয়ে সবার ওপরে রয়েছেন তিনি। আর ৬৭ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মর্ডান্ট। ৫০ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। এছাড়া কেমি বদনেখ পেয়েছেন ৪০, টম টুগেনধাত ৩৭ এবং সুয়েলা ব্রাভারম্যান পান ৩০ ভোট। টিকে যাওয়া ওপরের ছয় জনের মধ্যে একজন হবেন কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটির পর পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেছেন দুই প্রার্থী। তারা হলেন – অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাউই এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। প্রথম রাউন্ডেই জাহাউই-এর ছিটকে যাওয়া বেশ বিস্ময়ের। কারণ অনেকেই ইরানি বংশোদ্ভুত এই রাজনীতিককে সুনাকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করছিলেন।
আরও পড়ুন: ভিনগ্রহে প্রথম পানির সন্ধান পেল নাসা
সংবাদমাধ্যম বলছে, ভোটাভুটিতে জাহাউই এবং হান্ট – কেউই ন্যূনতম ৩০টি ভোটও পাননি। এর ফলে প্রথম রাউন্ডের পর পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রইলেন ঋষি সুনাকসহ মোট ছয়জন প্রার্থী। আগের দিনই ছিটকে গিয়েছিলেন আরও তিন প্রার্থী। কনজারভেটিভ পার্টির মোট ৩৫৮ জন এমপি ভোট দিয়েছেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত প্রথম রাউন্ডের ভোটের ফলাফলে ঋষি সুনাক পেয়েছেন ৮৮ ভোট, পেনি মর্ডান্ট ৬৭ ভোট, লিজ ট্রাস ৫০ ভোট, কেমি ব্যাডেনোচ ৪০ ভোট, টম তুগেনধাত ৩৭ ভোট, সুয়েলা ব্রেভারম্যান ৩২ ভোট। এছাড়া পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়া নাদিম জাহাউই পেয়েছেন ২৫ ভোট এবং জেরেমি হান্ট ১৮ ভোট পেয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বরিস জনসন সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। মূলত ‘পার্টিগেট’ থেকে শুরু হয়েছিল জনসন সরকারের ভাবমূর্তির পতন। ব্রিটেনে কঠোর কোভিড লকডাউন চলাকালে সরকারি বাসভবনে মদের পার্টি বসানো নিয়ে দলের মধ্যেই অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হয়েছিলেন বরিস।
এরপর থেকে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে জনসন সরকার। কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনচার-এর যৌন কেলেঙ্কারি কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেয়। মত্ত অবস্থায় এক ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ চেপে ধরার দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন পিনচার। প্রথম থেকে পুরোটা জেনেও, অস্বীকার করেছিলেন বরিস। পরে তার মিথ্যাচার ধরা পড়ে যায়।
এরপরই জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ঋষি সুনাক। যার সূত্র ধরে একের পর এক সংসদ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ইস্তফা দেন এবং বরিস জনসনও পদ ছাড়তে বাধ্য হন।