কর্ণাটক হাইকোর্টেও সুরাহা হলো না হিজাব বিতর্ক

হিজাব বিতর্কে উত্তাল কর্ণাটক
হিজাব বিতর্কে উত্তাল কর্ণাটক  © সংগৃহীত

হিজাব ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের কর্ণাটক। ক্লাসে ছাত্রীরা হিজাব পরতে পারবে কী না, তার সমাধানে কর্ণাটক হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন কর্ণাটক সরকারি কলেজের পাঁচ ছাত্রী। কিন্তু হাইকোর্টও এ ব্যাপারে কোনো সমাধানে আসতে পারেননি। বিষয়টি সমাধানের ভার প্রধান বিচারপতির হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন কর্ণাটক হাইকোর্ট।

দি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ মামলার শুনানি চলে। বুধবারও (৯ ফেব্রুয়ারি) শুনানি করেন বিচারক। তবে নিষ্পত্তি হয়নি। মামলাটি বৃহত্তর-বেঞ্চে পাঠানো হয়েছে। বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের বেঞ্চ সাংবিধানিক এখতিয়ারের প্রশ্ন তুলে মামলাটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ জারি করেছেন।

এ ব্যাপারে বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিত বলেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো বিবেচনা করে বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা যেতে পারে কী না সেই সিদ্ধান্ত প্রধান বিচারপতিরই নেওয়া উচিত।

এদিকে বাংলাদেশের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গুজব ছড়ানো হয়েছে কর্ণাটকের হাইকোর্ট রায় যে দিয়েছে শিক্ষাঙ্গনে মুসলিম শিক্ষার্থীরা হিজাব পরে যেতে পারবে। মুহূর্তের মধ্য সেই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

অপরদিকে হিজাব বিতর্কের জেরে বেঙ্গালুরুতে দুই সপ্তাহ বিক্ষোভ সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিয়ে বিতর্কে সব স্কুল-কলেজ আগামী তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করেছেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসাভারাজ বোম্মাই।

গত এক মাসের বেশি সময় ধরে কর্ণাটকের বিভিন্ন স্কুল কলেজেহিজাব পরে ক্লাস করার অনুমতির দাবিতে আন্দোলন করছে মুসলিম ছাত্রীরা। অন্যদিকে হিন্দু শিক্ষার্থীরা গেরুয়া ওড়না পরে হিজাববিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে।

চলমান হিজাব বিতর্ক নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন বিজেপির সংসদ সদস্য হেমা মালিনী। তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ শিক্ষার জায়গা, সেখানে ধর্মীয় আচার-আচরণের কোনো স্থান নেই। প্রত্যেক স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পোশাকবিধি মেনে চলতে হবে। এর বাইরে যে কেউ তার ইচ্ছামতো পোশাক পড়তে পারে।

তবে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পোশাকের বিষয়ে ব্যক্তি স্বাধীনতার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেন, পোশাক পরার বিষয়ে একজন নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। তা বিকিনিই হোক বা হিজাব।


সর্বশেষ সংবাদ