করোনায় ৬০০ দিনের বেশি বন্ধ দিল্লির স্কুলগুলো
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:০৩ PM
২০২০ সালের মার্চে দিল্লিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে স্কুল বন্ধ ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। শহরে আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি প্রশাসন। কিন্তু স্কুল বন্ধ ঘোষণার ৬০০ দিনের বেশি পার হয়ে গেলেও স্কুলে ফিরতে পারেনি শহরটির ৪০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে স্কুল বন্ধ রাখা দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৮২ সপ্তাহ বা ৫৭৪ দিন বন্ধ ছিল ভারতের স্কুলগুলো। তবে কভিড নীতিমালা রাজ্যভেদে ভিন্ন ভিন্ন হওয়ায় স্কুলগুলো পুরো ভারতব্যাপী এক যোগে বন্ধ ছিল না। ৮৩ সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রেখে প্রথম অবস্থানে আছে উগান্ডা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে দ্বিতীয়বার সুযোগ রাখার পেছনে শিক্ষার্থীদের ৮ যুক্তি
ধরিনি মথুর নামে এক অভিভাবক সিএনএনকে জানান, তার ছেলে যখন অনলাইলে প্রি-স্কুল শুরু করে তখন সে মাত্র চার বছরে পা দিয়েছে। প্রায় দুই বছর পর এখনো সে কম্পিউটারের সামনে বসে শিক্ষক-সহপাঠীদের সংস্পর্শ ছাড়া ভার্চুয়ালি শেখার চেষ্টা করছে। স্কুল বন্ধ থাকার তার সন্তানের শিক্ষার ওপর বাজে প্রভাব পড়ছে জানান মথুর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এত লম্বা সময় ধরে স্কুল বন্ধ রাখার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দিল্লির মতো প্রকট বৈষম্যপূর্ণ শহরের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর ওপর। এই বিলম্বিত শিক্ষাগ্রহণের ফলে দারিদ্র বৃদ্ধি, আয় ক্ষমতা কমে যাওয়া ও ফলস্বরূপ লাখ লাখ মানুষকে মানসিক ও শারীরিক চাপ সহ্য করতে হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: ‘আগে বিশেষ, পরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি’
তারা আরও বলেন, শুধু দিল্লিতেই নিম্নবিত্ত পরিবারের কয়েক লাখ শিশু আছে যারা ন্যূনতম স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বাস করার সুযোগ পায় না, যাদের ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোন কেনার সামর্থ নেই, সব মিলিয়ে তাদের হয়ত শিক্ষার সুযোগ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত হতে হবে।
গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়া টুইটারে লেখেন, নিরাপদ নয় বলে আমরা স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু এখন অতিরিক্ত সতর্কতা শিশুদের ক্ষতি করছে। আমরা যদি এখন স্কুল না খুলি, শিশুদের একটা প্রজন্ম শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়বে।