বাদাম বিক্রি বন্ধ করে গায়ক হতে চান ভুবন বাদ্যকর

ভুবন বাদ্যকর
ভুবন বাদ্যকর  © সংগৃহীত

ভারতের ঝাড়খন্ড, বর্ধমান, ভীরভূমে ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করতেন ভুবন বাদ্যকর। গানের সুরে সুরে বিক্রি করতেন কাচা বাদাম। কিন্তু তার গাওয়া গান ভাইরাল হওয়ার পর এখন সেটি প্রায় বন্ধ। তাকে দেখলেই গান শোনানোর বায়না ধরে সবাই। তাই এ বাদাম বিক্রি বন্ধ করে গায়ক হতে চান ভুবন। ইতমধ্যে সেজন্য কাজও শুরু করেছেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার সেই স্বপ্নেরই বড় পদক্ষেপ ঘটে গেল। দশ-দশটি গান স্টুডিওয় রেকর্ড করলেন ভুবন। তাঁর সঙ্গে ডুয়েটে গলা মিলিয়েছেন গায়িকা মাম্পি চক্রবর্তী। দু’জনে মিলে ডিস্কো র‍্যাপের আদলে গেয়েছেন ‘কাঁচা বাদাম’। সেই সঙ্গে আরও ৯টি গান রয়েছে অ্যালবামে। ভুবনের ফ্যান-ফলোয়ারদের আনন্দের শেষ নেই এই খবরে।

পড়ুন: গানের সুরে ‘কাঁচা বাদাম’ বিক্রি করে ভাইরাল কে এই বিক্রেতা?

জানা গেছে, কাঁচা বাদাম ছাড়া অন্য যে গানগুলো রয়েছে সেগুলির মধ্যে আটটি গান লিখেছেন ও সুর করেছেন লোকশিল্পী সুবল সরকার। এই গান প্রকাশিত হলে এস.এম ফোক ইউটিউব চ্যানেলে শোনা যাবে।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ভুবন বাদ্যকর বলেন, বাদাম আর বিক্রি হবে বলে মনে হচ্ছে না। এবার গানের দিকেই মন দেব। গান লিখবো। বাদাম কী করে বিক্রি করব? ওটাই তো আর হচ্ছে না। ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বাদাম বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে।

ভুবন আরও বলেন, এখন আর বাদাম বিক্রি হবে না। লোকজনকে গান শোনাতে শোনাতে সময় কেটে যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বা ইউটিউবাররা আসছে সেখান থেকে কিছু রোজগার হচ্ছে।

পড়ুন: কিডন্যাপের ভয়ে হেলমেট পরে থানায় কাঁচা বাদামের গায়ক

ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটকসহ সর্বত্রই কান পাতলে শোনা যাচ্ছে ভুবন বাদ্যকরের কাঁচা বাদামের গান। বীরভূমের কুড়ালজুড়ির বাসিন্দা ভুবনের বাড়িতে এখন মানুষের ঢল। একের পর এক জনপ্রিয় ইউটিউবার দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, ভিডিও করছেন গানের।

পড়ুন: এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে গাইলেন হিরো আলম (ভিডিও)

ভাইরাল হয়ে বাবার বিপদে পড়ার বিষয়ে জানিয়েছেন ভুবনের ছেলেও। ছেলের দাবি, ভুবন বাদ্যকরের গান শুনেই সবাই চলে যাচ্ছেন। কেউ আর বাদাম কিনছেন না। এতে তার আয় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এদিকে, গানের কপিরাইটও পাননি। তাই সংসার চালানোই এখন দায়। যে কারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ভুবন।।

দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ করে ভুবন বলেছেন, ‘বাদাম বাদাম দাদা কাঁচা বাদাম, আমার কাছে নাই গো বুবু ভাজা বাদাম’, এই গানটি চুরি করে টিকটকার, ইউটিউবাররা লাখ লাখ টাকা আয় করছেন। কিন্তু তিনি এর কানাকড়িও পাচ্ছেন না। তাই দ্বিতীয় গান নিয়ে যাতে এমন বিড়ম্বনায় না পড়তে হয়।

অন্য প্রাঙ্গণ থেকে আরও পড়ুন


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence