ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অর্থ সহায়তা চাইলেন কলেজ শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১, ১১:৩১ AM , আপডেট: ২৭ জুন ২০২১, ১১:৩১ AM
যশোর উপশহর মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক শরিফুল ইসলাম। অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে বৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৫ সাল থেকে কলেজটিতে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
এমপিওভুক্ত না হওয়ায় কলেজ থেকে যে সামন্য বেতন পেতেন, করোনা মহামারির কারণে কলেজ বন্ধ থাকায় গত ৫ মাস ধরে সেটিও পাচ্ছেন না। আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে পড়েছেন চরম অর্থসংকটে।
সামাজিক মর্যাদার কারণে এত দিন কারোও কাছে সহায়তার হাত না পাতলেও; নিরুপায় হয়ে এবার আর্থিক সহায়তা চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসে শরিফুল ইসলাম লিখেছেন, আমি শরিফুল ইসলাম। প্রভাষক উপশহর মহিলা কলেজ যশোর। আমি একজন নন-এমপি ও অর্নাস শিক্ষক। বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে কলেজ থেকে যে সামন্য বেতন পেতাম তা দীর্ঘদিন ধরে পাচ্ছি না। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানববতার জীবনযাপন করছি। আমাকে কিছু নগদ অর্থ বা খাদ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে উপকৃত হব’। আমার বিকাশ নাম্বার ০১৭২৪-৯০৬৮২০।
এই বিষয়ে শরিফুল ইসলাম বলেন, চলমান করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের বেতন ভাতা আদায় বন্ধ রয়েছে। আয় না থাকায় কলেজের নন-এমপিও বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন ও ভাতা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কলেজের ফান্ড শূন্য থাকায় আমাদের বেতন দিচ্ছে না। আমি শুধু একা না, আমার মতো ননএমপিও শিক্ষককেরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। পরিবার নিয়ে দিন পার করাই এখন দায়! অনেকে ত্রাণ বা সরকারের আর্থিক সহায়তাও পাচ্ছে না। বিশেষ করে সামাজিক মর্যাদার কারণে অনেকেই ত্রাণের জন্য বাইরে যোগাযোগ করছে না। দীর্ঘদিন ধরে স্বজনদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে সংসার চালিয়ে আসছি।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেতন বন্ধ থাকায় এবং সরকার থেকে আর্থিক সাহায্য না পাওয়ায় যশোরের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা, দিনমজুরের কাজ করছেন। অনেকে টিউশনি করার চেষ্টা করছেন, কেউবা মাছ ধরে ব্যবসা করছেন।