জমি কেড়ে নিচ্ছে চীন, চাঞ্চল্যকর দাবি নেপালের!

  © সংগৃহীত

শুধুমাত্র ভারত নয়, একাধিক প্রতিবেশীর সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তিক্ত। একদিকে যখন নেপালের সঙ্গে মানচিত্র নিয়ে ভারতের একটা চোরা সংঘাত চলছে, তার মধ্যেই নেপাল দাবি করল, চীন তাদের জমিও ছাড়ছে না। নেপালের দাবি তাদের দিকেও চিন ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।

নেপালের জমি অধিগ্রহণ করার জন্য সেখানেও নাকি রাস্তা তৈরির কাজ শুরু করেছে চীন। অদূর ভবিষ্যতে নেপালের গা ঘেঁষে চীন বর্ডার আউটপোস্ট তৈরি করতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। নেপালের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্ভে ডিপার্টমেন্ট থেকে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

সেখানে দেখা যাচ্ছে, অন্তত ১০টি জায়গায় একট একটু করে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছে চীন, যাতে মোট ৩৩ হেক্টর জমি দখলের প্রচেষ্টা চলছে। এমনকি সেখানেও চীন নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে জমি দখল করার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে নেপাল।

নেপালের হুমলা জেলায় বাগদারে খোলা নদী ও কারনালি নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে অন্তত ১০ হেক্টর জমিতে দখলদারি চালাচ্ছে চীন। এছাড়া রাসুয়া জেলায় ছয় হেক্টর জমির উওর এই দখলদারির প্রচেষ্টা চলছে।

রিপোর্ট বলছে, তিব্বতের দিকে চীন রাস্তা তৈরি করছে। যার নদীগুলি গতিপথ ঘুরিয়ে নেপালের দিকে বইতে শুরু করেছে। ফলে নেপালের অনেক জমি কমে যাচ্ছে ওই সব অঞ্চলে। এইভাবে চলতে থাকলে নেপালের বেশিরভাগ জমিই তিব্বতের দিকে চলে যাবে বলে আশঙ্কা।

ভারতের ক্ষেত্রে নদীর গতি ঘোরাতে দেখা গিয়েছে চীনকে। প্রকাশ্যে এসেছে এক চাঞ্চলকর স্যাটেলাইট ইমেজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইল’ ওই ইমেজ হাতে পেয়েছে। যা দেখিয়ে ওই সংবাদমাধ্যমের দাবি, গালওয়ানকে নিজেদের বলে দাবি করার জন্য চীন ইতিমধ্যেই ওই নদীর স্রোত ঘুরিয়ে দিয়েছে।

২০১০-এর ছবি বলছে গালওয়ান ভ্যালিতে কোনও রাস্তা ছিল না। ২০১৫-১৬ তে চীন আস্তে আস্তে রাস্তা নির্মাণ করতে শুরু করে। সেখানে স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যাচ্ছে চীনের কোনও সেনা নেই। শুধু একটা ছোট ঘর আছে। ২০২০-র এপ্রিলে ওই এলাকায় সেনা ঢোকাতে শুরু করেছে চীন। নদীর ধার ধরে ঘাঁটি গাড়ছে চীনের সেনাবাহিনী।

চীনের ইঞ্জিনিয়াররা চেষ্টা করছে নদী আরও গভীর করতে, তাতে চওড়া অংশ কমে আসবে ও নদীর ধারে আরও বেশি সেনা মোতায়েন করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই গালোয়ানে ২৫ মাইল পর্যন্ত চীনের সেনা ঢুকে পড়েছে বলে দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের। খবর: কলকাতা২৪।


সর্বশেষ সংবাদ