চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে করোনাভাইরাস!

  © ফাইল ফটো

চীনের ল্যাব থেকেই করোনাভাইরাস ছড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন জরুরিকালীন কমিটি (কোবরা)। এর আগে এমন দাবি করেছিল আমেরিকা, ইসরায়েল ও ইরান। খবর ডেইলি মেইলের।

ব্রিটেনের সংবাদপত্র ডেইলি মেইল কোবরা কমিশনের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃতি করে লিখেছে, ‘বিজ্ঞানীরা যতই বলুন, উহান প্রদেশের গবেষণাগারে জীবাণু তৈরির তথ্য উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’

এ প্রসঙ্গে ডেইলি মেইল ২০১৮ সালে চীনের সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি চায়নার একটি প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরেছেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ‘চীনের ভাইরোলজি ইন্সটিটিউট ইবোলার চেয়ে ভয়ংকর এক জীবাণু নিয়ে গবেষণা করছে। মজাদার বিষয় হল, ৩০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে বানানো ওই প্রতিষ্ঠানটি বণ্যপ্রাণী বাজার থেকে মাত্র দশ মাইল দূরে রয়েছে।’ আবার অসমর্থিত সূত্রের খবর, মারণ জীবাণুতে প্রথম আক্রান্ত হয়েছিলেন উহানের ওই পরীক্ষাগারের বিজ্ঞানীরা। পরে বাইরে ছড়িয়ে পড়ে।

অবশ্য তাদের এমন অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে ব্রিটেনের চীনা দূতাবাস। সে দেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত জেং রংয়ে বলেছেন, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ধরণের অভিযোগ চীন ও তার নাগরিকদের আত্মত্যাগকে অসম্মানিত করছে। যদি চীনের গবেষণাগারে এই জীবাণু তৈরি হত, তাহলে সেখানে এত মৃত্যু ঘটত না।’

ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস কলেজের আইনের অধ্যাপক ড. ফ্রান্সিস বয়েল। রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংগঠনেরও অন্যতম মাথা তিনি। তাঁর উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে 'বায়োলজিক্যাল ওয়েপনস অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাক্ট' বিল পাশ হয়। নোভেল করোনাভাইরাস যে নিছকই কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ নয়, সে বিষয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন ড. ফ্রান্সিস।

ইজরায়েলি গোয়েন্দা ও মাইক্রোবায়োলজিস্টদের দাবির সমর্থন জানিয়েই ড. ফ্রান্সিস বয়েল বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিতে অতি গোপনে রাসায়নিক মারণাস্ত্র বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ। সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আর এই কথা বিলক্ষণ জানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সব জেনেও গোটা বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার কৌশলী চেষ্টা চলছে।

ড. ফ্রান্সিস বয়েল আরও বলেছিলেন, উহানের এই বায়োসেফটি লেভেল ফোর ল্যাবোরেটরিকে সুপার ল্যাবোরেটরির তকমা দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বলা হয়েছিল, এই ল্যাবে ভাইরাস নিয়ে কাজ হলেও তা অনেক বেশি সুরক্ষিত ও নিরাপদ। ল্যাবোরেটরির জন্যই রয়েছে আলাদা উইং যার বাইরের পরিবেশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই।

ড. ফ্রান্সিস বলেন, সার্স ও ইবোলা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠার পরে অভিযোগের আঙুল ওঠে এই গবেষণাগারের দিকেই। রোগ প্রতিরোধ নয়, বরং প্রাণঘাতী জৈব অস্ত্র বানাতেই মত্ত গবেষকরা। যারই পরিণতি হাজার হাজার মৃত্যু। নোভেল করোনাভাইরাসের জিনগত বদল ঘটানো হয়েছে এবং উহানের এই ল্যাবোরেটরি থেকেই যে ভাইরাস ছড়িয়েছে সেটাও জানেন ডব্লিউএইচও'র অনেক গবেষকই।

সূত্র-ডেইলি মেইল।


সর্বশেষ সংবাদ