পশ্চিম তীর দখলের ডাক ইসরায়েলের, বলছে— ‘এটা ঐতিহাসিক সুযোগ’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৭ PM , আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৯ AM
ইসরায়েলের বিচারমন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন বলেছেন, বর্তমান সময় একটি ‘ঐতিহাসিক সুযোগ’, যা কাজে লাগিয়ে দখলকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইসরায়েল-এর বরাতে এ খবর জানা গেছে।
লেভিন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতির বাইরে এটা একটি ঐতিহাসিক সুযোগ, যা আমরা হারাতে পারি না। এখনই সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার সময়। এখনই সময় নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার। এ বিষয়ে আমার অবস্থান কঠোর ও স্পষ্ট।’
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীর ইসরায়েলি সামরিক দখলে থাকলেও, এটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কখনও সংযুক্ত করা হয়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরেই কট্টর ডানপন্থী ইসরায়েলি নেতারা এই অঞ্চলের দখল চায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ও গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধ শুরুর পর, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানচিত্র নতুন করে আঁকছে। এর ধারাবাহিকতায় পশ্চিম তীরে প্রতিদিনের সামরিক অভিযান, গণগ্রেফতার এবং বসতি উচ্ছেদ আরও জোরদার করা হয়েছে, বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে।
ইসরায়েলি বাহিনীর বুলডোজার দিয়ে বহু আবাসিক এলাকা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং জোরপূর্বক অন্তত ৪০ হাজার মানুষকে উচ্ছেদ করা হয়েছে।
২০২৪ সালে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ দুনাম (৬,১০০ একর বা ২,৪৭০ হেক্টর) জমিকে ‘রাষ্ট্রীয় জমি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দখল করা ২৩ হাজার দুনামের চেয়েও বেশি। পাশাপাশি, ৬৮টি অবৈধ ইহুদি বসতিকে বৈধতা দিয়ে অবকাঠামো সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যার মাধ্যমে দখলদারিত্ব আরও গভীর হয়েছে।