মধ্যপ্রাচ্যে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী সবচেয়ে বড় রণতরি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১১:০৯ AM , আপডেট: ২১ জুন ২০২৫, ০৮:১৮ PM
মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে টানা পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশ ইরান-ইসরায়েলের সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
তবে সংঘাতের অব্যাহত বিস্তার ও উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের আশপাশে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড মোতায়েন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্যপ্রাচ্যের কাছে অবস্থানরত মার্কিন তৃতীয় রণতরি হবে এটি।
শুক্রবার (২০ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজ।
মার্কিন নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বরাত দিয়ে রয়া নিউজ জানিয়েছে, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড বিমানবাহী রণতরি আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় জলসীমার উদ্দেশে রওনা দেবে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরুর পর অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এটি হবে মধ্যপ্রাচ্যের আশপাশে মোতায়েন তৃতীয় মার্কিন ক্যারিয়ার।
আরও পড়ুন : জাতিসংঘে ইসরায়েলকে তুলাধোনা করল ৪ দেশ
নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তার মতে, ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড আগামী ২৪ জুন সকালে মার্কিন বন্দর হোম পোর্ট ভার্জিনিয়ার নরফোক থেকে ইউরোপের উদ্দেশে রওনা হবে। পূর্বনির্ধারিত মোতায়েনের অংশ হিসেবে এটিকে আনা হচ্ছে।
২০১৭ সালে কমিশনপ্রাপ্ত এই বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড আর. ফোর্ড হলো মার্কিন নৌবাহিনীর পারমাণবিক শক্তিচালিত অত্যাধুনিক প্রধান জাহাজ। ১ লাখ টন ওজনের এই জাহাজটি বর্তমানে মার্কিন নৌবাহিনীর প্রযুক্তিগত দিক থেকে সবচেয়ে উন্নত এবং শক্তিশালী ক্যারিয়ার হিসেবে গণ্য করা হয়।
রয়া নিউজ আরও জানায়, বর্তমানে ইউএসএস কার্ল ভিনসন কয়েক মাস ধরে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন রয়েছে এবং এটি ইয়েমেনে হুতিদের লক্ষ্য করে চালানো মার্কিন বিমান হামলায় অংশ নিয়েছে।
ইতোমধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে নোঙর করা ইউএসএস নিমিৎজও পশ্চিমে এই অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি থেকে ১৪ কার্গো বিমানে অস্ত্র এলো ইসরায়েলে
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপজুড়ে অবস্থিত বিভিন্ন ঘাঁটিতে বড় সামরিক পরিবহন বিমান পাঠিয়েছে এবং কাতারে অবস্থিত আল উদেইদ বিমানঘাঁটি থেকে বহু বিমান সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভাব্য ইরানি হামলার আশঙ্কায় এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার (২০ জুন) নিউ জার্সিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েল জয়লাভ করছে। ইসরায়েল যেহেতু বর্তমানে জয়ের পথে রয়েছে, তাই তাদের এখন হামলা বন্ধ করতে বলা আমার জন্য সহজ নয়।
ট্রাম্প বলেন, যদি কেউ জয়ী হয়, তাহলে তাকে হামলা বন্ধ করতে বলা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু কেউ যদি পরাজিত হয়, তখন তাকে থামতে বলা সহজ হয়। তবে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছি এবং ইরানের সঙ্গেও কথা বলছি। কী হয়, তা দেখা যাক।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়, তেল আবিবের সামরিক অভিযানের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।