‘ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে অংশ নেবে কি না দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন ট্রাম্প’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০১:০৩ AM , আপডেট: ২০ জুন ২০২৫, ০৮:২১ PM
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে অংশ নেবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লেভিট নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একটি বার্তার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে, ইরানের সঙ্গে ভবিষ্যতে আলোচনা হওয়ার একটি যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে—হোক বা না হোক, আমি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেব যুক্তরাষ্ট্র সেখানে যাবে কি না।’
ব্রিফিংয়ে লেভিট বলেন, ‘ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী, তবে তাঁর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হচ্ছে নিশ্চিত করা যে ইরান যেন কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো চুক্তিতেই তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে হবে।’
‘প্রেসিডেন্ট সবসময় কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী... তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার নেতা। তিনি ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি’ নীতিতে বিশ্বাস করেন। তাই কূটনীতির সুযোগ থাকলে তিনি সেটি গ্রহণ করবেন,” বলেন লেভিট। “তবে আমি এটাও যোগ করব, প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহারে তিনি ভয় পান না।’
লেভিট এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান যে, ট্রাম্প ইরানে হামলার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের অনুমোদন চাইবেন কি না। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন এখনও বিশ্বাস করে, ইরান এর আগে কখনও এতটা পারমাণবিক অস্ত্রের কাছাকাছি ছিল না।
বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান ইসরায়েলের একটি হাসপাতালে হামলার পর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। সপ্তাহব্যাপী আকাশযুদ্ধ ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে, কিন্তু কোনো পক্ষই পিছু হটার লক্ষণ দেখাচ্ছে না।
লেভিট জানান, ট্রাম্পকে ইসরায়েলের অভিযানের বিষয়ে ব্রিফ করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে রাজি না হয়, তবে তা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান এখন সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা সংকটে পড়েছে এবং দেশটি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নিয়ে ভাবছে।
সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্প নানা সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বার্তা দিচ্ছেন—কখনো দ্রুত কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলছেন, আবার কখনো যুদ্ধেও যুক্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। বুধবার তিনি বলেন, ‘কেউ জানে না আমি কী করব।’ একদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যার ইঙ্গিত দেন, আবার দাবি করেন ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
রয়টার্সকে তিন কূটনীতিক জানান, ইসরায়েল হামলা শুরু করার পর থেকে ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি একাধিকবার টেলিফোনে কথা বলেছেন।
সূত্র: রয়টার্স।