‘ইসরায়েল জানে ইরানের নেতারা কোথায় আছেন’

হামলার পর তেহরানে বিধ্বস্ত একটি স্থান পরিষ্কার করছে দমকলকর্মীরা।
হামলার পর তেহরানে বিধ্বস্ত একটি স্থান পরিষ্কার করছে দমকলকর্মীরা।   © সংগৃহীত

গত কয়েক দিন ধরেই ইসরায়েল ইরানে হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত তা-ই ঘটল। শুক্রবার ভোরে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণুবিজ্ঞানী তো বটেই সেনাপ্রধান সহ দেশটির শীর্ষ তিন সামরিক কর্তাও নিহত হয়েছেন। হামলা করা হয়েছে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনায়ও। ইসরায়েলের এমন সংঘটিত হামলা ও নির্ভুল নিশানাকে দেশটির গোয়েন্দা সক্ষমতার প্রদর্শন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

দোহার গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুহানাদ সেলুম মনে করেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাটি শুধুমাত্র সামরিক শক্তির নয়, বরং দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার সক্ষমতার একটি স্পষ্ট প্রদর্শন।

দোহার আল-জাজিরা স্টুডিও থেকে সেলুম বলেন, ‘ইসরায়েল ইতিমধ্যেই তেহরানকে পরিষ্কার বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে, তারা জানে ইরানের নেতারা কোথায় আছেন, তারা কারা। ইসরায়েলের কাছে সঠিক গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে এবং তাদের হাতে রয়েছে ইরানের অভ্যন্তরে পৌঁছানোর প্রযুক্তিগত সামর্থ্য।’

আরও পড়ুন: ইরানে হামলায় অংশ নেওয়া সব ইসরায়েলি পাইলট নিরাপদে ফিরেছেন

সেলুম আরও জানান, ২০০৬ সালের পর থেকে ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে মানব গোয়েন্দা উৎস তৈরি এবং প্রযুক্তিগত গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই সফলতা তারা এককভাবে অর্জন করেনি; ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট সহায়তা ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, ‘এখানে ব্যবহৃত অস্ত্রের ধরন গুরুত্বপূর্ণ নয়, প্রধান বিষয় হলো, ইসরায়েল ইরানের ভেতরে যেভাবে গোয়েন্দা সফলতা অর্জন করেছে, সেটাই সত্যিকার তাৎপর্যের জায়গা।’


সর্বশেষ সংবাদ