বাংলাদেশের মতো ভারতেও অভ্যুত্থানের শঙ্কা

ভারতে আন্দোলন
ভারতে আন্দোলন  © ফাইল ফটো

কট্টর হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) গবেষক দিলীপ দিওধর বলেছেন, ‘‘বিজেপি নেতৃত্বকে তার উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত করেছিল যে, রাজপথের বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশে যেভাবে সরকার পরিবর্তন ঘটেছিল, সেরকম কিছু ভারতেও ঘটতে পারে।’’

সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইকোনমিক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরএসএস গবেষক বলেন, ‘‘গত ১১ বছরে মূল সংগঠন আরএসএস ও বিজেপির মধ্যে সম্পর্ক শীতল হয়ে গিয়েছিল এবং বিজেপি এই বছরগুলোতে নিজেদের পথে চলেছে। কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় তাদের সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছিল। ওই সময় আরএসের পরামর্শ উপেক্ষা করেছিল বিজেপি। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর, যেখানে বিজেপি এক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে দূরে ছিল এবং বাংলাদেশের ক্ষমতার পরিবর্তন সংগঠন দু’টিকে কাছে নিয়ে এসেছে।’’

তিনি বলেন, ‘‘আরএসএস নেতৃত্ব থেকে শুরু করে তার কর্মীদের দলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ না দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশনা ছিল না। তবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কোনও কর্মী বা দলীয় কার্যনির্বাহী নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে চাইলে তিনি তা নির্দ্বিধায় করতে পারতেন। সংঘ বিজেপিকে সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসেনি এবং এর প্রভাব বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে।’’

আরএসএসের এই গবেষক বলেছেন, দু’টি সংগঠনই তাদের নিজেদের মধ্যকার মতপার্থক্যকে পেছনে ফেলার চেষ্টা করছে। আর এতে বিশাল ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন।

তিনি বলেন, ‘‘সংঘ বিজেপি নেতৃত্বকে তার উদ্বেগের বিষয়ে অবহিত করেছিল যে, রাজপথের বিক্ষোভের মাধ্যমে বাংলাদেশে যেভাবে সরকার পরিবর্তন ঘটেছিল, সেরকম কিছু ভারতেও ঘটতে পারে। বাংলাদেশে সরকার পতনের পর ভারতের অনেক বিরোধী নেতা বলেছিলেন, দেশেও একই রকমের ঘটনা দরকার। যে কারণে উদ্বেগগুলো অমূলক ছিল না। সংঘ ও বিজেপি উভয়ই জানে, বাইরের এমন কিছু শক্তি রয়েছে, যারা ভারতের নিজস্ব বৈদেশিক নীতি থাকতে পারে, সেটা চায় না।’’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence