৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বেড়েছে, ১৩ মাসে কতজন আটক জানাল ভারত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:০৭ PM , আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৫, ১০:১০ PM

গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বেড়েছে ভারতে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত—এই ১৩ মাসে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় কতজন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে, সেই তথ্য জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেই তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে। খবর আনন্দবাজারের।
আজ বুধবার (১২ মার্চ) আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ মাসে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ২ হাজার ৬০১ জন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আটক হয়েছেন গত বছরের অক্টোবরে। ওই মাসে ৩৩১ জন বাংলাদেশিকে আটক করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গত বছরের মে মাসে আটক হয়েছেন ৩২ জন অনুপ্রবেশকারী, ওই ১৩ মাসের হিসাবে এটিই এক মাসে সবচেয়ে কম।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, গত বছরের জানুয়ারিতে ১৩৮, ফেব্রুয়ারিতে ১২৪, মার্চে ১১৮, এপ্রিলে ৯১, মে মাসে ৩২, জুন মাসে ২৪৭, জুলাইয়ে ২৬৭, আগস্টে ২১৪, সেপ্টেম্বরে ৩০০, অক্টোবরে ৩৩১, নভেম্বরে ৩১০ এবং ডিসেম্বরে ২৫৩ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছেন অনুপ্রবেশের চেষ্টায়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ধরা পড়েছেন ১৭৬ জন অনুপ্রবেশকারী।
আনন্দবাজাররের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে কেন্দ্র। আজ বুধবার এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিন্দানন্দ রাই। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে গত বছরে ৪৬১ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় এই তথ্য জানানোর পরের দিনই সীমান্তে নজরদারির জন্য পদক্ষেপের কথা তুলে ধরল কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, নজরদারির জন্য উন্নত নজরদারি ব্যবস্থা, আরও বেশি লোকবল এবং প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরা এখন ‘হ্যান্ড হেল্ড থার্মাল ইমেজার’ ব্যবহার করছেন। বস্তুত, আশপাশে কোথাও বেশি তাপমাত্রা থাকলে, তা ধরা পড়ে এই যন্ত্রে। ফলে কোথাও কেউ লুকিয়ে থাকলে তার শরীরের তাপমাত্রা পৃথক রঙে ধরা পড়ে যন্ত্রে। পাশাপাশি রাতে অন্ধকারের মধ্যে দেখার জন্য বিশেষ যন্ত্রও ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া ইউএভি, সিসিটিভি, পিটিজেড ক্যামেরা, ইনফ্রারেড সেন্সরও ব্যবহার করা হচ্ছে। সীমান্তে নজরদারি আরও উন্নত করতে পরীক্ষামূলকভাবে আসামের ধুবরিতে ‘কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করা হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
কেন্দ্র জানিয়েছে, সীমান্তে নজরদারির জন্য বাহিনীর টহলদারি, নাকা এবং নজরদারির চৌকি সজাগ রয়েছে। স্থানীয় পুলিশ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সঙ্গেও সমন্বয় রেখে যৌথ অভিযান চালানো হয়। সীমান্তবর্তী অঞ্চলে পর্যাপ্ত আলো এবং সীমান্তের জলপথে পর্যাপ্ত নৌকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জলপথে নজরদারির জন্য রয়েছে ভাসমান সীমান্ত চৌকিও। এছাড়া সীমান্তে মানবপাচার রোধ করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নেতৃত্বে ১৫টি দলও টহল দিচ্ছে।