গাজা খালি করার প্রস্তাবে বিরোধিতা, যুক্তরাষ্ট্রকে পাঁচ আরব দেশের চিঠি

যুদ্ধবিরতির পর রান্না করার সিন্ডিয়ার নিচ্ছে যাচ্ছে দুই ফিলিস্তিনি শিশু
যুদ্ধবিরতির পর রান্না করার সিন্ডিয়ার নিচ্ছে যাচ্ছে দুই ফিলিস্তিনি শিশু  © রয়টার্স

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কাছে ফিলিস্তিন ঘিরে থাকা পাঁচটি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ফিলিস্তিনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা চিঠি লিখেছেন। এতে গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। সোমবার এ চিঠিটি পাঠানো হয়। খবর রয়টার্সের। 

এ চিঠিতে সই করেছেন জর্ডান, মিশর, সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। এছাড়া ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হুসেইন আল-শেখও চিঠিতে সই করেছেন।

বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘গাজার বাসিন্দাদের অন্য দেশে স্থানান্তরের প্রস্তাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে এবং সংঘাত বাড়িয়ে তুলবে।’

পাঁচ আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, ‘গাজার জনগণকে উচ্ছেদ করা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ও সহাবস্থানের সম্ভাবনা নষ্ট করবে।  তারা একইসঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে একটি ন্যায়সংগত ও পূর্ণাঙ্গ শান্তি অর্জনের আশা প্রকাশ করেন।’

মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস এই চিঠির বিষয়ে প্রথম সংবাদ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, কূটনীতিকেরা গত সপ্তাহান্তে মিসরের কায়রোতে মিলিত হয়েছিলেন।

গত ২৫ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথম গাজা খালি করার প্রস্তাব দেন। গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে জর্ডান ও মিসরে রাখার মতামত প্রকাশ করেন তিনি। তিনি জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহকে অনুরোধ করেন যেন আরও বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে গ্রহণ করা হয়।  

কিন্তু এর আগেও মিশর ও জর্ডান ট্রাম্পের এই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিশেষ করে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ২৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টভাবে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে উচ্ছেদ বা পুনর্বাসন করা একটি অবিচার, যা মিশর কোনো ভাবেই সমর্থন করবে না।’ 

হামাস বলেছে, ‘ইসরাইলি দখলদার বাহিনী যে লক্ষ্য হিংসার মাধ্যমে অর্জন করতে পারেনি, তা রাজনৈতিক কৌশলে হাসিল করা যাবে না। তাদের দাবি, গাজার পুনর্গঠনের নামে জনগণকে উচ্ছেদের প্রস্তাবের পুনরাবৃত্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই অপরাধের অংশীদার করে তুলছে।


সর্বশেষ সংবাদ