দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ PM , আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ PM
দক্ষিণ কোরিয়ার দুর্নীতি তদন্ত ব্যুরোর প্রধান প্রসিকিউটর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের শুনানিতে প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত অফিসের প্রধান ওহ ডং-উন বলেন, তিনি ইওলের বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছেন। একই সঙ্গে, বিচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বে সাং-আপ জানায়, এই নিষেধাজ্ঞার আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।
এদিকে, রোববার ক্ষমতাসীন দল পিপিপির প্রধান হান ডং-হুন প্রেসিডেন্ট ইওলের পদত্যাগের আগে কূটনীতি ও রাষ্ট্রীয় বিষয়ে জড়িত থাকার ক্ষমা জানান। যদিও পিপিপি প্রধানকে এমন বক্তব্য দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়নি বলে বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি সমালোচনা করেছে।
গত সপ্তাহে জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারি করার পর, প্রেসিডেন্ট ইওল বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েন। ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে’ সমূলে উৎপাটনের কথা বলে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারির ঘোষণা দেন তিনি। তবে পরবর্তী সময়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। ইওলের ‘অপ্রত্যাশিত’ সামরিক আইন ঘোষণায় দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। ১৯৮০ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ এমন পরিস্থিতি দেখেনি। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এই পরিস্থিতির পর, ইওল ক্ষমা চেয়েছেন এবং তার রাজনৈতিক ও আইনি ভাগ্য তিনি নিজ দলের, পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি), কাছে ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি এখনও প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইওল এখনো আইনত কমান্ডার ইন চিফ, কিন্তু তার বিরুদ্ধে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার কারণে তার ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স