বাংলাদেশে সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড ও গণগ্রেপ্তার নিয়ে যা বলছে জাতিসংঘ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৯ PM , আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৪ PM
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতা, হত্যাকাণ্ড ও গণগ্রেফতার নিয়ে কথা বলেছে জাতিসংঘ। বুধবার সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে সংঘটিত সব সহিংসতার স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত হওয়া দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে যা ঘটছে, আমরা যা দেখেছি—গণগ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ড—সেসব ব্যাপারে আমরা আমাদের উদ্বেগ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছি।’
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে পারার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর কর্তৃপক্ষের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। এটি এমন একটি অধিকার, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিতে নিহিত রয়েছে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, সহিংসতার সব ঘটনা একটি স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে তদন্ত করা উচিত। দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনা দরকার, তবে সংলাপের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
স্টিফেন ডুজারিক বলেন, তাঁরা সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অংশে, বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ দেখেছেন। যেখানে তরুণেরা বিশ্বের অবস্থা, নিজেদের ভবিষ্যৎ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের সংবেদনশীলতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো—বিক্ষোভ যেখানেই হোক না কেন, গ্রেপ্তারের ভয় ছাড়াই, আহত বা আরও খারাপ পরিস্থিতির ভয় ছাড়াই মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেওয়া।
সহিংসতাকারীদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সরাসরি গুলি করাসহ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো নিয়ে তাঁরা যে খুবই উদ্বিগ্ন, সে কথা ইতিমধ্যে বলা হয়েছে। তাঁরা এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ্য বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন। আবার সরাসরি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
ডুজারিক বলেন, ‘দেখুন, শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশ্নে তাঁর বক্তব্য হচ্ছে—জাতিসংঘে কর্মী নিযুক্তির ক্ষেত্রে ব্যক্তির মানবাধিকার যাচাইয়ের প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সদস্যরাষ্ট্রের। তারা এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে, মোতায়েনের জন্য মনোনীত কর্মী অতীতে আন্তর্জাতিক মানবিক বা মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নন, কিংবা জাতিসংঘের কোনো অভিযান থেকে ফেরত পাঠানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, তাঁরা স্পষ্টতই এ বিষয়ে দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন। তাঁরা নিশ্চিত করতে চান, জাতিসংঘের মানবাধিকার নীতির প্রয়োজনীয়তা মেনে চলতে তাঁরা সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন।