বাংলাদেশ থেকে আরও রোহিঙ্গা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪০ PM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৪০ PM
আগামী বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আরও রোহিঙ্গা শরণার্থী নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে গ্লোবাল রিফিউজি ফোরাম-২০২৩-এ দেওয়া এই প্রতিশ্রুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটকে নিজেদের অগ্রাধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইউনাইটেড স্টেটস রিফিউজি অ্যাডমিশন প্রোগ্রামের আওতায় ২০২৪ সালেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে।
এছাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার জন্য নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যবহারের কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে রোহিঙ্গা শরণার্থীরাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভের দিকেও গুরুত্ব আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আরও পড়ুন: হামাস সদস্য ভেবে জিম্মিদের হত্যা করল ইসরায়েলি বাহিনী
রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের মানুষের সাক্ষরতা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক দক্ষতার প্রশংসাপত্র প্রদান করে এমন কর্মসূচি সম্প্রসারিত করার প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি খাতের অংশীজনদের যুক্ত করা। যারা এসব কর্মসূচিতে আর্থিক বা কারিগরি সহায়তা দেবে।
বিবৃতি অনুসারে, কেবল বাংলাদেশ থেকেই নয়, বরং বিশ্বের যেসব দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে, সেই সব দেশ থেকেও তাদের যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে অবশ্যই তা শর্তসাপেক্ষে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ, কলম্বিয়া ও কেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশে শরণার্থীদের স্বনির্ভর করে তুলতে সেল্ফ রেসিলিয়েন্স ইনিশিয়েটিভ (আরএসআই) পরিচালনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
মার্কিন কূটনৈতিক এবং আর্থিক সহায়তায় এসব দেশে ২০২৭ সালের মধ্যে অন্তত ২০ লাখ পরিবারের কাছে এই উদ্যোগ পৌঁছে দিতে বহুপক্ষীয় সরকারি, বেসরকারি, উন্নয়ন সংস্থা ও নাগরিক সমাজের সঙ্গে বিস্তৃত পরিসরে কাজ করবে।
১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া গ্লোবাল রিফিউজি ফোরামে শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের চাহিদার প্রতি মার্কিন প্রশাসনের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ২৬টি অনন্য ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র এমন এক সময়ে এসব ঘোষণা দিল যখন বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।