বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযান শুরু ভারতের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:১৯ PM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৪:১৯ PM
বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে নভোযান পাঠাল ভারত। শুক্রবার স্থানীয় সময় ২ টা ৩৫ মিনিটে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্রের শ্রীহরিকোটা শহরের সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ভারতের নিজস্ব রকেট চন্দ্রযান ৩।
ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের উদ্দেশ্যে পৃথিবী থেকে যাত্রা শুরু করেছে চন্দ্রযান ৩।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরোর এই চন্দ্রযাত্রার কেন্দ্রে রয়েছে এলভিএম-৩ রকেট। এটি চন্দ্রযানটিকে শক্তি জোগাবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে। এলভিএম-৩ হল একটি ত্রিস্তরীয় উৎক্ষেপণ যান। এর আগে একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ এবং চন্দ্রযাত্রায় এই এলভিএম-৩ ব্যবহৃত হয়েছে।
মহাকাশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৩-২৪ আগস্ট ল্যান্ডারটির চাঁদে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। চাঁদের মাটি স্পর্শ করার এই অভিযাত্রায় মোট ৪০ দিন সময় নেবে চন্দ্রযান ৩।
চন্দ্রযান ৩ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানী ও গবেষকরা জানিয়েছেন, যদি কোনো কারণে প্রত্যাশিত সময়ে নভোযানটি চাঁদে পৌঁছাতে নাও পারে, সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে চাঁদে নামতে সক্ষম হবে চন্দ্রযান ৩।
এর আগে মাত্র ৩ টি দেশ চাঁদে নভোযান পাঠাতে পেরেছে— যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীন। এবার এই তালিকায় যুক্ত হলো ভারতের নামও।
তবে চতুর্থ দেশ হলেও ভারতের এই চন্দ্রাভিযানের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। এই অভিযান সফল হলে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে একটি রোবটযান নামাতে সক্ষম হবে দেশটি। চাঁদের ওই অংশ এখনও খুব কমই জানে মানুষ।
চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন, খনিজ শনাক্তকরণ ও বণ্টনের পরিমাণ, পৃষ্ঠের রাসায়নিক গঠন, চাঁদের উপরের মাটির তাপ-ভৌত বৈশিষ্ট্য এবং চাঁদের ক্ষীণ বায়ুমণ্ডলের গঠন সম্বন্ধে তথ্য অন্বেষণ করাই এই অভিযানের উদ্দেশ্য।
এই অভিযানটি চাঁদের বুকে অবতরণে ভারতের দ্বিতীয় অভিযান। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ নামে একটি যান চাঁদে অবতরণের জন্য পাঠিয়েছিল ভারত। তবে সেটি চাঁদের ভূপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করতে পারেনি।
এর আগে ২০০৭ সালে চন্দ্রযান-১ নামের একটি মহাকাশযানকে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণের জন্য পাঠিয়েছিল দিল্লি। এক বছর সফলভাবে প্রদক্ষিণের পর ২০০৮ সালে এটিতে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।