অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ফেল, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে বন্ধ গ্র্যাজুয়েশন উৎসব
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ০৫:১৭ PM , আপডেট: ৩০ মে ২০২৩, ০৫:১৭ PM
গ্র্যাজুয়েশন উৎসব উপলক্ষে সবকিছু প্রস্তুত। ফলাফল প্রকাশের পরই হবে সেটি। কিন্তু তা আর হলো না। বাতিল হয়ে গেল উৎসব। কারণ, বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন। আমেরিকার টেক্সাসে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের মারলিন উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ডিপ্লোমা কোর্সে শিক্ষার্থী ৩৩ জন। কোর্স শেষের পরীক্ষায় ২৮ জন অকৃতকার্য, পাস করেছেন মাত্র ৫ জন। বেশির ভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় গ্র্যাজুয়েশন উৎসব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু অকৃতকার্য নয়, এই ২৮ শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপস্থিতির হারও অনেক কম।
সিএনএন–এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেক্সাসের ওই উচ্চবিদ্যালয়ে গ্র্যাজুয়েশন উৎসব পুনরায় আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। মারলিন উচ্চবিদ্যালয় ফেসবুক পোস্টে বলেছে, আগামী জুনে স্নাতক শেষে উৎসবটির তারিখ ঘোষণা করা হবে। তবে এর আগে অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও শিক্ষাকার্যক্রমের ফল ভালো করতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বলেছে, শিক্ষার্থীদের সফলতা ও একাডেমিক প্রত্যাশা পূরণে একটি বড় প্রচেষ্টার অংশ মারলিন ইনডিপেনডেন্ট স্কুল ডিস্ট্রিক্ট–এর এ কার্যক্রম। তারা আরও বলে, এই ডিস্ট্রিক্ট শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় দরকারি জিনিস ও সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আর এ প্রতিশ্রুতি পূরণের অংশ হিসেবে গ্র্যাজুয়েশন প্রোগ্রামের নতুন তারিখ দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডেরিল হেনসন বলেন, শিক্ষার্থীদের সফলতা অর্জনে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি আমরা অবিচল। আমরা বিশ্বাস করি, মারলিনের প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবে এবং তারা সেটা করবেই। আমরা শিক্ষার্থীদের ওপর উচ্চাকাঙ্ক্ষা চাপিয়ে দিই না, আমরা তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করি। আমরা আশা করি, আমাদের এই শিক্ষার্থীরা টেক্সাসের অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো একই উচ্চমান বজায় রাখবে।
এদিকে গত ২৪ মে বিদ্যালয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের একটি সভা অধ্যক্ষ হেনসন সভায় বলেন, টেক্সাসে গ্র্যাজুয়েশনের কিছু নিয়মনীতি আছে। এটা কোনো নৃত্যমঞ্চ নয়। এটা বিদ্যালয়ের স্নাতক শেষের উৎসব।
এক বিবৃতিতে প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা নিকিশা অ্যাডওয়ার্ড বলেন, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নানা উদ্যোগ নিয়েছে। যেমন সপ্তাহে বেশি বেশি ক্লাসসহ নানা উদ্যোগ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকার সময়ে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি করে পড়ায় মনোযোগী করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। উপস্থিতি বাড়ানোর প্রতিও আমরা নজর দিচ্ছি।