স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে সিরিয়ার শিক্ষার্থীরা

স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে সিরিয়ার শিক্ষার্থীরা
স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে সিরিয়ার শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

গত শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের তাণ্ডবের তিন সপ্তাহ পর আবারো স্কুলে যেতে শুরু করেছে সিরিয়ার বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকার বাসিন্দা ওয়ার্দ শরেইতের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে সিরিয়ায় বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে পুনরায় স্কুল কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা

স্কুলে ফিরতে পারার খুশির কথা আল জাজিরাকে জানায় ১০ বছর বয়সী ওয়ার্দ। সে বলে, ‘আমি স্কুলে ফিরতে পেরে খুশি। কারণ আমি আমার বন্ধুদের দেখা পেয়েছি। ’

সে জানায় ভূমিকম্পে নিজের পরিবারের কোনো সদস্যকে না হারালেও ওয়ার্দের এক সহপাঠী মারা গেছে।

সে বলে, ‘আমি দুঃখিত ছিলাম যে, আমার ওই বন্ধু স্কুলে ছিল না। আমি তাকে আর কখনো দেখতে পাব না। আমরা একে অপরের সঙ্গে খেলাধুলা করতাম। ’

হারিম বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক আহমদ শেখ আহমদ। তিনি বলেন, শিক্ষা বোর্ড শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার জন্য কয়েকটি মহড়া ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার ও রোববার শেষের দুটি ক্লাস এ মহড়া সম্পর্কে জানার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই মহড়ায় আমরা শিক্ষার্থীদের শিখিয়েছি যে, ‘যদি তারা সাইরেন শুনতে পায়, তাহলে যেন অবশ্যই স্কুলের খেলার মাঠের দিকে সুশৃঙ্খল ও শান্তভাবে এগিয়ে যায়। ’

আরও পড়ুন: ঢাবির অ্যালামনাই ইন ইউকে ট্রাস্ট ফান্ড’র বৃত্তি পেলেন ১২ শিক্ষার্থী।

‘আল্লাহ মাফ করুক, যদি এটি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়, তাহলে বেঞ্চের নিচে আশ্রয় নিয়ে কীভাবে নিজেদের রক্ষা করা যায় তাও শেখানো হচ্ছে। ’

রবিবার স্কুলের উপস্থিতি ছিল মাত্র অর্ধেক। কারণ শিক্ষার্থীরা এখনও ভয়ে রয়েছে। প্রধান শিক্ষক জানান, তিনি আশা করেছিলেন যে স্কুলের সময় ফিরে আসা শিক্ষার্থীদের জীবনে স্বাভাবিকতার অনুভূতিতে অবদান রাখবে।

ইদলিব গভর্নরেটের শিক্ষা মন্ত্রী জানান, এই অঞ্চলের প্রায় ২৫০টি স্কুল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, প্রাথমিকভাবে হেরেম, সালকিন, আতারিব, ইদলিব এবং আল-মুলুন্দ শহরে। এসব অঞ্চলের মধ্যে একটি স্কুল সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং অধিকাংশ স্কুল আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকি স্কুলগুলো সামান্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে যে, ভূমিকম্পে ৩৯ জন শিক্ষক ও ৪২১ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

উল্লেখ্য সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে সবমিলিয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।


সর্বশেষ সংবাদ