শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে গতানুগতিক বাজেটে চলবে না: রাশেদা কে চৌধুরী

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে শিক্ষা খাতে ক্রমাগত যে ক্ষতি হচ্ছে, তা চোখে পড়ছে না বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেছেন, অন্য খাতের ক্ষতি চোখে পড়ছে। শিক্ষার ক্ষতির বিষয়টি দৃশ্যমান নয়। আমাদের উদ্বেগের জায়গা এটি। এ খাতের ক্ষতি পোষানো ভীষণ কঠিন। করোনায় শিক্ষার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গতানুগতিক বাজেট হলে চলবে না।

একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় রেখে বাজেট করতে হবে উল্লেখ করে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বাজেটে শিক্ষায় বরাদ্দ ২০ শতাংশ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। মহামারীতে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় যে বাজেট দরকার তা সরকারের কাছে প্রত্যাশা করছি।

তিনি বলেন, এ সময়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পরিমাণ বাড়াতে হবে। সবাইকে বৃত্তির আওতায় আনতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুপুরের খাবার বিতরণ চালু করতে হবে। না হলে প্রায় দেড় বছর ছুটির পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরবে কি না সন্দেহ। শিক্ষার্থীদের বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, অপুষ্টিসহ বিভিন্ন ঝুঁকি রয়েছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্যাকেজ দেখা গেলেও শিক্ষায় সেভাবে চোখে পড়েনি।

গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বিশালসংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। তারা সরকারের কাছ থেকে বেতন-ভাতা না পেয়ে বিপদগ্রস্ত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তাই প্যাকেজের আওতায় নীতিমালা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানো, শিক্ষকদের দক্ষতা বাড়ানো এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা খাত যেন বাজেটে গুরুত্বের বাইরে না যায়। তবে শুধু বাজেট বাড়ালে হবে না। এর বরাদ্দ ব্যবহার এবং ব্যবহারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ