ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের সমস্যা সমাধানের উপায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের লোগো এবং ড. কামরুল হাসান মামুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের লোগো এবং ড. কামরুল হাসান মামুন  © ফাইল ফটো

ঢাকার সাতটি কলেজ যেগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে চার বছরের অনার্স এবং এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রাম চালু। এগুলোর প্রত্যেকটিকে একেকটি বিশ্ববিদ্যালয় বলা যায়। প্রশ্ন হলো সেখানে অনার্স এবং মাস্টার্সে পড়ানোর মত যোগ্য শিক্ষক কি যথেষ্ট আছে? মাস্টার্সের ছাত্রদের থিসিস করানোর মত শিক্ষক কি আছে? এ জায়গাটায় আমাদের অনেক কিছু করার আছে।

সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয় পিএসসির মাধ্যমে, যার এন্ট্রি লেভেল হলো প্রভাষক এবং যোগ্যতা হলো মাস্টার্স পাশ। তাদের নিয়োগ দিয়ে মন্ত্রণালয় এই শিক্ষকদের যেই পরিমান নিষ্পেষণে রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনে কোন সাহায্যতো করেই না বরং উল্টোটা করে। ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ যদি কাউকে দিতেই হয় তাহলে কলেজের এই শিক্ষকদের সবার আগে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ এরা উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে আসলে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী বছরের পর বছর ধরে উপকৃত হবে।

তাছাড়া পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগেরও ব্যবস্থা করা যায়। এ কলেজগুলোতে ইউরোপ, জাপান, চীন, কোরিয়া, আমেরিকা থেকে পিএইচডি ডিগ্রীধারীদের সরাসরি উচ্চতর পদে যেমন সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারে। এটা করলে ভালো এবং যোগ্য শিক্ষকের ঘাটতি অনেক কমবে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া শিক্ষকদের প্রমোশন এবং সুবিধাদি বাড়ালে ভালো মানের পিএইচডি ডিগ্রীধারীরা কলেজে শিক্ষকতা পেশায় যেতে উৎসাহিত হবে। এছাড়া দুদিন পর পর বদলি করে এই শিক্ষকদের নিষ্পেষণও বন্ধ করতে হবে। আশা করি, এই দুটো কাজ করলে কলেজের শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে।

একইসাথে এই সাত কলেজের জন্য একটি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস খুলে সাত কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের নানা দুর্দশা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অতিরিক্ত চাপ থেকে মুক্ত করা যায়। এতে উভয় প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে।

লেখক: অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


সর্বশেষ সংবাদ