মানহীন নিয়োগ দিয়ে ধারণা তৈরি করা হয়েছে, শিক্ষকরা ভালো না

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন
অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন  © ফাইল ছবি

এত বছর যাবৎ শিক্ষকতা পেশাকে অনাকর্ষণীয় করে, নিয়োগ বিধিমালা ও দুষ্ট লোক দিয়ে নিয়োগ কমিটি ভরে মানহীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সমাজে একটা ধারণা তৈরি করা হয়েছে যে, আমাদের শিক্ষকরা ভালো না। আমাদের শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়ায়, পার্ট টাইম পড়ায়, জনপ্রতিনিধি তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের পেছনে ঘোরে, নিজেরা রাজনীতি আর সমিতি করে নানা গ্রুপিং ও তদবিরে ব্যস্ত। 

কথা পুরো সত্য। কিন্তু এ সত্য অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তৈরি করে শিক্ষাকে একদম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন এ থেকে মুক্তির উপায় কি? এখন শিক্ষকতা পেশাকে উন্নত ও আকর্ষণীয় করতে বললেই একদল বলে উঠে এদের যোগ্যতা নেই, এরা অমুক, এরা তমুক ইত্যাদি। তাহলে কি আমরা এর মধ্যেই আবর্তিত হতে থাকব? এক জায়গা থেকেতো শুরু করতে হবে। 

এটা করলে এখন যারা খারাপ, তারা লাভবান হয়ে যাবে বলে কি উচিত কাজটি করা যাবে না? উচিত কাজটি ঠিক করতে হবে ভবিষ্যতের পানে তাকিয়ে। যাতে তখন থেকে যারা নিয়োগ পাবে তারা যোগ্য হয়। খারাপের উদাহরণ দিয়ে ভালো কিছু না করার যুক্তি কখনোই ভালো না। আর যেন একটি নিয়োগও খারাপ না হয়। 

আরো পড়ুন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে প্রফেশনাল মাস্টার্সে ভর্তি

শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় করার পাশাপাশি একই সাথে আমাদের নিয়োগ বিধিমালাকেও কয়েকটি স্তরে ভাগ করতে হবে, যেন তিন স্তরে ফিল্টারিং হয়ে বুল হওয়ার সম্ভবনা কমে যায়। একজন অসৎ খারাপ শিক্ষক যেমন অনেক বছর ধরে সমাজের ক্ষতি করে যেতে পারে, যা ক্যাসিক্যাডিং ইফেক্ট এর মাধ্যমে ক্ষতির পরিমাণ চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পায়। ঠিক তেমনি একটি ভালো নিয়োগ অনেক বছর ধরে সমাজের ভালো করে যেতে পারে, যা ক্যাসিক্যাডিং ইফেক্ট এর মাধ্যমে লাভ চক্রবৃদ্ধি হারে  বৃদ্ধি পায়।

লেখক: অধ্যাপক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

(ফেসবুক থেকে নেওয়া)


সর্বশেষ সংবাদ