চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের মানববন্ধন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১১:৩৪ AM , আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২২, ১২:০৫ PM
দ্রুত বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ ও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন সনদধারী চাকরিপ্রার্থীরা।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ৪র্থ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে তারা দাবি করেন- এনটিআরসিএ’র কর্তৃক বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ, শূন্যপদে ই-রিকুইজিশন নিয়ে ইনডেক্সমুক্ত, দ্রুত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি। মানববন্ধনে তারা বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির ফল বিলম্ব না করে দ্রুত ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও এনটিআরসিএ’র নিকটে আবেদন জানান।
মানববন্ধনে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আলম বলেন, আইসিটি শিক্ষকদের ব্যাপারে আদালত শুধুমাত্র একটি রুল জারি করেছে, সেখানে একমাসের মধ্যে এনটিআরসিএ’র মতামত দিতে বলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনটিআরসিএ’র ইচ্ছে করলেই বিশেষ বিজ্ঞপ্তির ফল দিতে পারেন এবং এই নজির ইতিপূর্বে এনটিআরসিএ রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি মামলা চলমান অবস্থায় থাকায়ও উনারা বিভিন্ন ফল প্রকাশ করেছেন এবং উনাদের কার্যক্রম বজায় রেখেছেন। কিন্তু আমাদের প্রতি এমন অবিচার-অবহেলা কেন? বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে এনটিআরসিএ’র পরীক্ষায় আমরা পাস করেছি, তাহলে আমাদের প্রতি কেন এই অবিচার? আমরা বারবার আশা রেখেছি, উনারা আমাদের হতাশ করেছেন। উনারা এই মাসে ৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় এর কোন অগ্রগতি আমরা লক্ষ্য করিনি।
আরও পড়ুন : পঁয়ত্রিশোর্ধ্বদের এমপিওভুক্ত করতে আদেশ জারি
প্রসঙ্গত, মুজিব শতবর্ষে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন নিবন্ধিত প্রার্থীরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবে অনশন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
প্রেসক্লাবের ওই অনশন কর্মসূচি শেষে এনটিআরসিএর সামনে অনশন পালন করেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। এনটিআরসিএ'র অনশন চলাকালীন আন্দোলনরতদের একটি প্রতিনিধি দল এনটিআরসিএ'র চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। চেয়ারম্যানের আশ্বাসে পরবর্তীতে অনশন স্থগিত করেন তারা।
এনটিআরসিএ সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৫ জুলাই বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ফল প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন নিবন্ধনের রিটকারীদের জন্য কিছু পদ সংরক্ষণ করা হয়। এছাড়া মহিলা কোটায় প্রার্থী না পাওয়ায় এবং যোগ্য প্রার্থী না থাকায় ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে এবং ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে ননএমপিও প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ৮ হাজার ৪৪৮টি পদে কোনো আবেদন না পাওয়ায় এবং ৬ হাজার ৭৭৭টি মহিলা কোটা পদে প্রার্থী না পাওয়ায় ১৫ হাজার ৩২৫টি পদ ফাঁকা থেকে যায়। এই পদগুলো পূরণ করতেই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।