চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন প্রার্থীরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০৮ PM , আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:১৪ PM
মুজিব শতবর্ষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিতে আগামীকাল রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে অনশন শুরু করতে যাচ্ছেন ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। এ উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন তারা।
১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন শুরু করবেন তারা। একইদিন দুপুর ২টা থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ের সামনেও অনশন করবেন তারা। ইতোমধ্যে নিবন্ধনধারীদের বড় একটি অংশ ঢাকায় এসেছেন। অনশনের ব্যানার, পোস্টার সবই প্রস্তুত করা হয়েছে।
১৬তম নিবন্ধনধারীরা বলছেন, বেসরকারি স্কুল-কলেজে হাজার হাজার শিক্ষকের পদ শূন্য থাকলেও শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিচ্ছে না এনটিআরসিএ। বরং বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা প্রার্থীদের সাথে প্রহসন করছে। আমরা এই বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি মানি না। আমরা মুজিববর্ষে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি চাই।
আরও পড়ুন: শূন্য পদের বিপরীতে হবে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি
এ প্রসঙ্গে ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাশেদ জানান, নিবন্ধন জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে অবহেলিত ব্যাচ হচ্ছে ১৬তম। মাত্র সাতদিনের ভাইভা বাকি থাকায় আমরা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি পাইনি। আমাদের অনেকেরই বয়স ৩৫ বছরের কাছাকাছি। এই অবস্থায় আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমাদের দাবি আদায়ে অনশন ছাড়া আর কোনো পথ দেখছি না।
আসিফ আল আজাদ নামে আরেক প্রার্থী জানান, আমরা আমাদের দাবি আদায় করেই বাড়ি ফিরবো। এনটিআরসিএর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। ইতোমধ্যে আমাদের অনেক সহযোদ্ধারা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। যেকোন মূল্যে কালকের আন্দোলন সফল করা হবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে দ্বিতীয় ধাপে সুযোগ ২৭ ফেব্রুয়ারির পর
প্রসঙ্গত, ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০১৯ সালের ২৩ মে। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ওই বছরেরই ৩০ আগস্ট, ফল প্রকাশ করা হয় ৩০ সেপ্টেম্বর। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৫ ও ১৬ নভেম্বর। সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের কথা থাকলেও তা প্রকাশ করা হয় এক বছর পর ২০২০ সালে ১১ অক্টোবর। লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশের এক বছরেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর ১৬তম নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।