বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিও আবেদনে যে কাগজগুলো লাগে

মাউশি ও এনটিআরসিএ লোগো
মাউশি ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

সম্প্রতি দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩৪ হাজার শিক্ষককে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র দেয়া হয়েছে। এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী যোগদানের দিন থেকে বেরসকারি শিক্ষকরা বেতন পাবেন।

এমপিও নীতিমালার ১৭.৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে এমপিও পদে যোগদানকৃত শিক্ষক-প্রদর্শকের একাডেমিক সার্টিফিকেট, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নিবন্ধন ও সুপারিশ যথাযথ থাকলে এবং অতীকে অপরাধমূলব বা বিরূপ কোন রেকর্ড না থাকলে ও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে তাদের এমপিওভুক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানপত্র গৃহীতের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি হতে পারে মার্চের শেষ দিকে: চেয়ারম্যান

এদিকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কর্তৃক যে সকল শিক্ষক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত সুপারিশপত্র পেয়েছেন কিংবা বিদ্যালযয়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের এমপিওভুক্ত হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বরাবর এমপিও আবেদন করতে হয়।

আবেদনকারীর সকল তথ্য যাচাই করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এডুকেশনাল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস)। নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদনের যথার্থতা যাচাই করে মান্থলি পে-অর্ডার অর্থাৎ এমপিওভুক্ত করা হয়।

আরও পড়ুন: চোখের জলে হিমেলকে বিদায় জানালেন সহপাঠীরা

স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের নতুন এমপিও আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

০১) প্রতিষ্ঠান প্রধানের অগ্রায়ন পত্র।
০২) আবেদনকারীর পূরণকৃত তথ্য ফরম।
০৩) এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ।
০৪) এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ
০৫) স্নাতক (ডিগ্রী) বা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ।
০৬) স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) বা সমমানের পরীক্ষার মূল সনদ।
০৭) অন্যান্য শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত সনদ।
০৮) বিএড বা ব্যাচেলর অফ এডুকেশন সনদ।
০৯) এনটিআরসিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার সনদ।
১০) ডিগ্রী বা স্নাতক পরীক্ষার মার্কশিট।
১১) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত নিয়োগপত্র।
১২) যোগদান পত্র।
১৩) ব্যাংক একাউন্ট স্লিপ ও ব্যাংক সার্টিফিকেট।
১৪) নিয়োগপ্রাপ্ত বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের তালিকা।
১৫) লাইব্রেরি পার্টিকুলার্স (লাইব্রেরী সংক্রান্ত তথ্য)।
১৬) ল্যাবরেটরী পার্টিকুলার্স (ল্যাব্রেটরি বা বিজ্ঞানাগার সংক্রান্ত তথ্য)।
১৭) শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্য বিবরণী।
১৮)নিয়োগকৃত পদে পূর্বে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের পদত্যাগপত্র অথবা মৃত্যু সনদ অথবা অব্যাহতি পত্র।
১৯) পদত্যাগ/অবসরপ্রাপ্ত/অব্যাহতি প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীর ব্যাংক নন-ড্রয়াল সার্টিফিকেট।
২০) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ স্বীকৃতির কপি।
২১) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ কমিটি অনুমোদনের কপি।
২২) লোকেশন সার্টিফিকেট (যেখানে প্রযোজ্য)।
২৩) সভার অধিবেশন বা রেজুলেশন সমূহের কপি।
২৪) ই-রিকুইজিশন কপি এবং এনটিআরসিএ গণবিজ্ঞপ্তির কপি অথবা পত্রিকায় প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির কপি।
২৫) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রথম এমপিও কপি।
২৬) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেষ এমপিও কপি।
২৭) নিয়োগ সংক্রান্ত সভার অধিবেশন বই বা রেজুলেশনের কপি সমূহ।
২৮) নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল/জাতীয় মেধা তালিকার কপি/এসএমএস এর কপি।
২৯) এনটিআরসিএ থেকে প্রাপ্ত রিকমেন্ডেশন লেটার।
৩০) বর্তমান কমিটির অনুমোদনের কপি।
৩১) সাবজেক্ট অ্যাপ্রুভাল অথবা বিভাগ খোলার অনুমতি কপি।
৩২) শ্রেণীভিত্তিক শিক্ষার্থীদের তালিকা।
৩৩) মহাপরিচালকের প্রতিনিধির মনোনয়নের কপি।
৩৪) অন্যান্য কাগজপত্র।


সর্বশেষ সংবাদ