যে কারণে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করছে এনটিআরসিএ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ PM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩০ PM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এজন্য শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করেছে টেলিটক। তবে পদের তথ্য নেওয়া প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য জানতে চেয়েছে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএর এমন সিদ্ধান্তে কিছুটা বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তারা বলছেন কী কারণে শেষ মুহূর্তে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য চাওয়া হলো সেটি তাদের বোধগম্য নয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এনটিআরসিএর কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছে দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস। তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও সুপারিশ পাচ্ছেন অল্প সংখ্যক। এর অন্যতম কারণ বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদ না থাকা। এজন্য এবার বিষয়ভিত্তিক তথ্য চাওয়া হয়েছে। যেন কত পদে সুপারিশ করা যাবে তার একটি ধারণা পাওয়া যায়।
নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহের ফলে সুপারিশের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে। বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও অবহিত করা যাবে।’
এদিকে বিষয়ভিত্তিক শূন্য পদের তথ্য পাওয়ার পর সপ্তম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাইবে সংস্থাটি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত আবেদন করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমরা কাজ করছি। বিষয়ভিত্তিক পদের তথ্য পাওয়ার পর যে কোনো মুহূর্তে আবেদন করা হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবেদন করার সম্ভাবনা বেশি। সেটি না হলে আগামী সপ্তাহে আবেদন করা হবে।’
এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শূন্য পদের অনলাইনে চাহিদা (e- Requisition) দেওয়ার সর্বশেষ তারিখ নির্ধারিত ছিল গত ২৮ নভেম্বর। তবে এ সময়সীমা ০১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গত ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে অনলাইনে চাহিদা (e- Requisition) সংশোধন করা গেছে। এছাড়াও উক্ত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্ত শূন্য পদের অনলাইনে চাহিদা (e-Requisition) দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। গত ০২ ডিসেম্বর রাত ১২টার মধ্যে e-Requisition ফি জমা দিতে পেরেছেন প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।