বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের দাবি

এনটিআরসিএ লোগো ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক
এনটিআরসিএ লোগো ও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ পর্যায়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভাপ্রার্থীরা। এ দাবিতে আজ সোমবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা প্রার্থীদের পক্ষে মো. রাশেদ মোশারফের জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির প্রেক্ষিতে চাকরিতে ৫% মুক্তিযোদ্ধা এবং ২% এতিম ও প্রতিবন্ধী কোটা ছাড়া সব ধরনের কোটা বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু নতুন সরকারের অধীনে এখনো বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরিতে ৩০% মহিলা কোটা বহাল রাখা হয়েছে। এই কোটা বহাল রেখেই ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞাতি প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শূন্য পদের চাহিদা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা বৈষম্য তৈরি করছে। 

আরও পড়ুন: ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে যা জানালেন এনটিআরসিএ’র সচিব

নারী কোটা বহাল রাখার ফলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের ভাইভা প্রার্থীরা চরম বৈষম্যমের শিকার হবেন এবং বেসরকারি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী কোটা থাকার কারণে কোটা জনিত শূন্যপদ পূরণ হবে না। বিগত ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতেও একই চিত্র দেখা গেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বৈষমহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৩০% নারী কোটা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।’’

এ বিষয়ে ১৮তম নিবন্ধনের ভাইভা প্রার্থী বিকেএম নুরুল কাইছার বলেন, ‘৩০ শতাংশ নারী কোটার কারণে পুরুষ প্রার্থীদের চাকরি হয় না। নিবন্ধন সনদ অর্জন করেও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি মেলেনা। কোটা প্রথা বিলুপ্তির দাবিতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। এখনো কীভাবে ৩০ শতাংশ কোটা বহাল থাকে সেটি আমাদের বোধগম্য নয়।’

আরেক ভাইভা প্রার্থী ঝিনাইদহের তুষার মিয়া বলেন, ‘চাকরিতে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। নারী-পুরুষ সমান অধিকার হলে তাদের আলাদা করে সুবিধা দেওয়ার কোনো মানে হয় না। নারী কোটার পদ অনেক। এই পদগুলো পূরণ হয় না। পদ ফাঁকাই থেকে যায়। অথচ অসংখ্য পুরুষ প্রার্থী নিবন্ধন সনদ অর্জন করেও বেকার থাকছেন। এ বিষটি ভেবে দেখা দরকার। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে নতুন করে বৈষম্য তৈরি করা হলে শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না।’


সর্বশেষ সংবাদ