চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ মার্চের শুরুতে

ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক
ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক  © ফাইল ফটো

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশ মার্চের শুরুতে করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর অনুমোদন সাপেক্ষে এই ফল প্রকাশ করা হবে। প্রাথমিক সুপারিশের মাধ্যমে কে কোন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকরি পাবেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক ফল তৈরির কাজ প্রায় শেষ। আগামী দুই/তিনদিনের মধ্যে ফল তৈরি হয়ে যাবে। এরপর ফল প্রকাশের অনুমতি চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে সাক্ষাত করবেন এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা। শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করতে। তবে টেলিটক ফল প্রস্তুত করতে না পারায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এখন মার্চের শুরুর দিকে ফল প্রকাশের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, টেলিটক ফল প্রস্তুত করা মাত্র আমরা শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা করব। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ফল ঘোষণা করবেন নাকি আমরা সরাসরি ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশ করব সে বিষয়ে অনুমতি নিতে হবে। এটি করতে খুব বেশি সময় প্রয়োজন হবে না। মার্চের প্রথম দিকেই প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশে মামলা সংক্রান্ত যে জটিলতা ছিল সেটি কেটেছে। কাজেই আমরা আর দেরি করতে চাই না। দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সুপারিশ করতে চাই। আশা করছি মার্চের প্রথম দিকে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির প্রাথমিক সুপারিশ করতে পারব।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৩৯০ জন শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এর মধ্যে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে ৩১ হাজার ৫০৮ জন এবং মাদরাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি স্কুল-কলেজে ৩৬ হাজার ৮৮২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে আবেদন শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে। এক লাখের বেশি চাকরি প্রার্থী শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেছেন।


সর্বশেষ সংবাদ