নভেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আশা এনটিআরসিএ’র
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৫ AM , আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২২, ০৮:৩৫ AM
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অর্ধ লাখের বেশি শিক্ষক নিয়োগের চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি আগামী নভেম্বর মাসে প্রকাশ করতে চায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। তবে শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় এনটিআরসিএ’র এই পরিকল্পনাও সফলতার মুখ দেখবে কিনা সেটি নিয়ে সন্দিহান প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারাই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৭০ হাজার শিক্ষকের শূন্য পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্যগুলো তিনটি অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। তবে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে পারেনি।
ওই সূত্র আরও জানায়, প্রথম পর্যায়ে ৭ অক্টোবরের মধ্যে অধিদপ্তরগুলো তথ্য যাচাইয়ের অনুরোধ জানায় এনটিআরসিএ। পরবর্তীতে সেই সময় বাড়িয়ে ২০ অক্টোবর করা হয়। সময় বাড়ানোর পরও তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ করা যায়নি। এই অবস্থায় নভেম্বর মাসে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়ে সন্দিহান এনটিআরসিএর কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএ’র এক কর্মকর্তা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল অক্টোবর মাসে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের। তবে নানা কারণে সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি। নভেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিকল্পনা করা হলেও সেটিও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে কিনা তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
তবে এনটিআরসিএ’র সচিব বলছেন নভেম্বর মাসেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন তারা। তার দাবি শূন্য পদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ নভেম্বরের শুরুতে শেষ হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ’র সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের লক্ষ্যে আমরা শূন্য পদের তথ্যগুলো মাঠ থেকে পাওয়ার পর তিনটা অধিদপ্তরকে যাচাইয়ের জন্য দিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল অক্টোবরের মধ্যেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার। তবে সেটি সম্ভব হয়নি। আশা করছি নভেম্বরেই মধ্যেই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবো।
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন ফি এক হাজার টাকা ধরা হয়েছে। এতে দু’টি অপশন থাকবে। প্রথমে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের পছন্দ দিতে হবে। দ্বিতীয় অপশন পছন্দ করলে ৪০টির মধ্যে না হলে যে প্রতিষ্ঠানে মেধা তালিকায় আসবে সেই প্রতিষ্ঠানেই থাকে চাকরিতে যোগদান করতে হবে।