স্কুলের সভাপতি নির্বাচন

ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুই ভোটারকে পেটালেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা

মারধর
মারধর  © সংগৃহীত
স্কুলের সভাপতি নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুই ভোটারকে বেধরক পিটিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার এক পর্যায়ে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়। রবিবার (২৩ জুলাই) মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা আনন্দমোহন উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলের সভপতি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছিলেন মানিকগঞ্জ- আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ বেগম এবং উজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী দুর্যোগ ও ত্রান বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান। নির্বাচনকে ঘিরে বেশ কিছুদিন ধরে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। রবিবার সকালে উভয়পক্ষের সমর্থকরা স্কুল প্রাঙ্গনে জড়ো হতে থাকেন। পুলিশ তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিলেও তারা আবার কেন্দ্রে আসেন। উত্তেজনার মধ্যেই দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সাতজন ভোটারকে বৈঠক শুরু হয়। এসময় বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলায় দুইজন ভোটার ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের নিচতলায় নিয়ে আসার সময় মমতাজ বেগমের সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই ওই দুই অভিভাবক সদস্যকে বেধরক পেটাতে থাকেন। পরে তাদের উদ্ধার করে স্কুলের একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজেদুল ইসলাম বলেন, যাদের মারা হয়েছে তারা বিএনপি-জামাতের লোক। তাদের দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে যায়। তবে তাদের মারা উচিত হয়নি। মমতাজ বেগম বলেন, মারধরের বিষয়টি আমার জানা নেই। স্থানীয় কর্মী ও স্কুলের নির্বাচিত সদস্যরা আমাকে প্রার্থী হওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তাদের জন্যই এখানে প্রার্থী হয়েছিলাম। দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, নির্বচনের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই সংসদ সদস্যের লোকজন ও পুলিশ ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে তাদের হুমকি দিচ্ছেন। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই দুজন অভিভাবককে পেটানো হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনিই জয়ী হবেন।

সর্বশেষ সংবাদ