করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি

শিশু-বয়স্ক-অসুস্থদের মসজিদে না যাওয়ার নির্দেশ

নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা
নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা  © ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির কারণে মসজিদে শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজদের মসজিদে না যাওয়াসহ ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 

মঙ্গলবার (২৮ জুন) রাতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে ৯টি নির্দেশনা হলো-

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

আরও পড়ুন: শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা: প্রধান আসামি গ্রেপ্তারসহ ৬ দফা দাবি

৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।

৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।

৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।


সর্বশেষ সংবাদ