ঈদে সড়কে ঝরেছে ৬৮১ প্রাণ, প্রতিদিন ৫৬ 

দুর্ঘটনার শিকার বাস ও মাইক্রোবাস
দুর্ঘটনার শিকার বাস ও মাইক্রোবাস  © ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের ১২ দিন মহাসড়কে ৩ হাজার ১৭৮ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে ৬৮১ জন। আর আহত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭ জন। সে হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মহাসড়কে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায়।

মঙ্গলবার (১০ মে) স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সেভ দ্য রোডের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল  ফিতর উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল থেকে ঈদযাত্রা ও  ৪ মে থেকে ১০ মে পর্যন্ত ঈদফেরার সড়কপথে প্রায় ২৬ লাখ মোটর সাইকেল চলাচল করেছে। মোটরসাইকেল চালানোর সময় নিয়ম না মানা এবং হেলমেট ব্যবহারে অনীহার কারণে ১ হাজার ৬১৮ টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৯০ জন; আর আহত হয়েছেন ৯৬৮ জন। অসাবধানতা ও ঘুমন্ত চোখে-ক্লান্তিসহ দ্রুত চালানোর কারণে ৪০৭টি ট্রাক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩২১ এবং নিহত হয়েছে ১৬৮ জন। সড়কে গর্ত, অচল রাস্তা-ঘাট আর সড়কপথ নৈরাজ্যের কারণে ৪৬৭টি বাস দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩১০ জন এবং নিহত হয়েছে ১৫৪ জন; পাড়া-মহল্লা-মহাসড়কে অসাবধানতার সাথে চলাচলের কারণে লড়ি-পিকআপ-নসিমন-করিমন-ব্যাটারি চালিত রিক্সা-সাইকেল ও সিএনজি দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬৮৬টি আহত হয়েছেন ৪৭৮ জন এবং ১৬৯ জন নিহত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছাদ থেকে পড়ে আহত জাবি ছাত্র অমিত মারা গেছেন

বিবৃতিতে সেভ দ্যা রোড বলেছে, এ সময়ে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল তা হলো— ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কৃত্রিম টিকিট সংকট তৈরি করে দুই থেকে তিন গুণ ভাড়া আদায় করে একটি মহল। এতে সম্পৃক্ত ছিল সরকারি দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের একটি বড় অংশ।

সেভ দ্য রোড দাবি করেছে, ঈদযাত্রা ও ফেরাকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি চাঁদাবাজি করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা হলেও পুলিশ-প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। এ থেকে উত্তরণে সংগঠনটি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে।


সর্বশেষ সংবাদ