এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম

এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম
এক লাফে ৩৮ টাকা বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম  © সংগৃহীত

এক লাফে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ছে। বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে মিলমালিকদের বৈঠকের পর বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিনের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯৮ টাকা। বর্তমানে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বাজারে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার (০৫ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের পর নতুন এ দাম নির্ধারণ করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। 

সংগঠনটির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হবে ১৯৮ টাকা। আর ৫ লিটারের বোতলের দাম হবে ৯৮৫ টাকা, যেটি বর্তমানে ৭৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকা এবং খোলা পাম তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হবে। বর্তমানে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা ও পাম তেল ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সরিষার তেলে যত উপকার

জানা গেছে, সয়াবিন তেলের বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে দেশের বাজারে মূল্য সমন্বয়ের বিষয়ে আজ বেলা তিনটায় বাণিজ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। বৈঠকে তেল পরিশোধনকারী কোম্পানির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের পর বিকেলে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পাম তেলের দামে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা রয়েছে।

পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে তোলপাড় সবচেয়ে বেশি। এক বছর আগেও বোতলজাত তেলের লিটার ছিল ১৩৪ টাকা করে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তা নির্ধারণ করা হয় ১৬৮ টাকা। ব্যবসায়ীরা মার্চ থেকে লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকার রাজি না হলে সেদিন থেকে বাজারে সরবরাহে দেখা দেয় ঘাটতি।

এরপর সরকার ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিক্রির ওপর থেকে ভ্যাট পুরোপুরি আর আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে বাকি সব ভ্যাট প্রত্যাহার করে নেয়। পরে গত ২০ মার্চ লিটারে ৮ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় ১৬০ টাকা।

সেদিন পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৬০ টাকা এবং খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এরপর বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে এলেও ঈদের আগে আবার অস্থির হয়ে ওঠে বাজার। বাজার থেকে উধাও হয়ে যায় সয়াবিন তেল। কিছু রাইস ব্র্যান ও সূর্যমুখীর তেল পাওয়া যায়। আর যেসব দোকানে সয়াবিন তেল ছিল, সেগুলো বিক্রি হচ্ছিল সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে অনেক বেশিতে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence