১৪ জেলার যেসব এলাকা আজ ঈদ উদযাপিত হচ্ছে

ঈদ উদযাপান
ঈদ উদযাপান  © সংগৃহীত

আজ সোমবার (২ মে) সারাদেশে সহস্রাধিক গ্রামে ৩০ রোজা সম্পন্ন করে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (৩ মে) ঈদ উৎসব পালনের ঘোষণা দেওয়া হলেও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামের মানুষ আগাম ঈদ উদযাপন করছেন।

জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো এবারও চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশালসহ সারাদেশে সহস্রাধিক গ্রামে ৩০ রোজা সম্পন্ন করে আগাম পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। 

মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে দীর্ঘদিন ধরেই এসব এলাকার মানুষ ঈদসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে আসছেন। নামাজ শেষে মুসল্লিরা কুশল বিনিময় করেন। 

চট্টগ্রাম
জেলার চন্দনাইশস্থ জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামসহ সারাদেশে সহস্রাধিক গ্রামে ৩০ রোজা সম্পন্ন করে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। 

এ দরবার শরীফের অনুসারীরা হানাফি মাজহাবের মতে বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রায় দুইশত পঞ্চাশ বছর পূর্ব হতে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহাসহ সকল মুসলিম ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করে আসছেন।

এদিন সকাল ৯টায় জাহাঁগিরিয়া শাহ্সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন উক্ত দরবার শরীফের পীর সাহেব আলহাজ্ব মাওলানা হযরত শাহ্ছুফি সৈয়্যদ মোহাম্মদ আলী শাহ্ (মা.জি.আ)।

এছাড়া দরবার শরীফ পরিচালিত ‘শাহ্সুফি মমতাজিয়া ইমাম কল্যাণ সোসাইটি’র উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় আরও দেড় শতাধিক মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রামের যেসকল স্থানে ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয় তার মধ্যে চন্দনাইশের পশ্চিম এলাহাবাদ, কাঞ্চননগর, মাইজ পাড়া, জুনিঘোনা, আব্বাস পাড়া, দিঘিরপাড়া, কাঞ্চন নগর ষ্টেশন, কেন্দুয়ারপাড়া, মাঝের পাড়া, দক্ষিণ কাঞ্চননগর, সৈয়দা বাদ, খুনিয়ার পাড়া, হাশিমপুর, কেশুয়া, সাতবাড়িয়া, মোহাম্মদপুর, হারালা, বাইনজুড়ি, বরকল, বরমা, চৈধুরীপাড়া, কষাইপাড়া, ফকিরপাড়া, পটিয়ার মল্লাপাড়া, হাইদগাঁও, শ্রীমাই, কাগজিপাড়া, বিনানীহারা, শান্তিরহাট, কালারপুল, শিকলবাহা, চরকানাই, বাশঁখালীর জলদি, কালিপুর, গুনাগড়ি, গন্ডামারার মিঞ্জিরিতলা, সনুয়া, সাধনপুর, আনোয়ারার তৈলার দ্বীপ, বাথুয়া, বারখাইন, বোয়ালখালির চরনদ্বীপ, খরনদ্বীপ, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, চুনতি, বরহাতিয়া, পুটিবিলা, উত্তর সুখছড়ি, আদুনগর, সাতকানিয়ার মির্জাখিল, বাংলাবাজার, মইশামুড়া, খোয়াছপাড়া, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, গাঠিয়াডাঙ্গা, পুরাণগর, মলেয়াবাদ, রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া, খুরুশিয়া গ্রামসহ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদুল ফিতরের পৃথক পৃথক জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড, সন্দীপ, মীরেস্বরাই, হাটহাজারী, উখিয়া, বান্দরবান, আলী কদম এলাকায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুর
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরে ঈদ উদযাপন করেছেন ৪০ গ্রামের মানুষ। যেসব গ্রামে ঈদ হচ্ছে সেগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, বেলচো, জাঁকনি, প্রতাপপুর, গোবিন্দপুর, দক্ষিণ বলাখাল। ফরিদগঞ্জ উপজেলার-সেনাগাঁও, বাসারা উভারামপুর, উটতলী, মুন্সিরহাট, মূলপাড়া, বদরপুর, পাইকপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, কাইতাড়া, নুরপুর, শাচনমেঘ, ষোলা, হাঁসা, চরদুখিয়া এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার দশআনী, মোহনপুর, পাঁচআনী ও কচুয়া উপজেলার উজানি গ্রাম।

চাঁদপুরের এসব গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও চট্টগ্রাম জেলার কয়েকটি স্থানে মাও. ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করছেন।

হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ ও কচুয়া উপজেলার ৪০টি গ্রামে ৯২ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন হচ্ছে এসব গ্রামে।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের সাদ্রা হামিদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবু ইছহাক ১৯২৮ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। ইছহাকের মৃত্যুর পর তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।

ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের বিভিন্ন এলাকাতেও সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলা মোড়ের গোলাম হযরতের মিল চত্বরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় এই ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই জামাতে ঝিনাইদহ সদর, হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কুলবাড়ীয়া, বৈঠাপাড়া, বোয়ালিয়া, চটকাবাড়িয়া, ফলসী, পায়রাডাঙ্গা, নিত্যানন্দরপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে শতাধিক মানুষ ঈদ জামায়াতে নামাজ আদায় করেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা রেজাউল ইসলাম জানান, সহিহ হাদিসের আলোকে বিগত ১৪ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে হরিণাকুণ্ডুতে ঈদ জামায়াত করেন।

ঈদ জামায়াত কমিটির সভাপতি মো. বজলুর রহমান বলেন, ‘ওআইসিসহ সকল সুমলিম উম্মা আজকে ঈদের নামাজ আদায় করছে। সে কারণে আমরা ঈদের নামাজ আদায় করছি। আমরা রাসুলের (সা.) সুন্নাহ অনুসরণ করে চলি। রসুল যেভাবে চলতে বলেছেন, আমরা সেইভাবে চলি। কোন দেশে কখন ঈদ হবে, এমন কোনো নিয়ম নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা চাঁদ দেখে রোজা রাখ চাঁদ দেখে রোজা ভাঙো। পৃথিবীর যেকোনো সময় যেখানেই চাঁদ দেখা যাবে তখন থেকে রোজা রাখা এবং রোজা ভাঙার নিয়ম রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরেও আগাম ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন ১১ গ্রামের মানুষ। সকাল ১০টায় রামগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব নোয়াগাঁও তালিমুল কুরআন নূরানী মাদরাসা ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এ উপজেলার ৪টি ও রায়পুর উপজেলার একটি মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাওলানা ইসহাকের (রা.) অনুসারী হিসেবে ৪৫ বছর ধরে এ নিয়ম পালন করে আসছেন তারা। সকাল ৭টায় রামগঞ্জ পৌরসভার জাহাঙ্গীর টাওয়ার, ৯ টায় পূর্ব বিঘা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

জানা যায়, জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, পূর্ব বিঘা, বারোঘরিয়া, হোটাটিয়া, শরশৈই, কাঞ্চনপুর ও রায়পুর উপজেলার কলাকোপাসহ ১১ গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন। তারা পৃথকভাবে নিজ নিজ এলাকার মসজিদে ঈদের নামাজের আয়োজন করেছেন।

দক্ষিণ পূর্ব তালিমুল কুরআন মাদরাসার ঈদগাহের খতিব মাওলানা আমিনুল ইসলাম খান জানান, আমরা হানাফি মাজহাবের অনুসারী। প্রত্যেকটি মাজহাবে একসঙ্গে সারা বিশ্বে ঈদের জামাত আদায় করার ফতোয়া রয়েছে। শুধু বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। আগে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ছিল না। এজন্য মানুষ সৌদি আরবের একদিন পর ঈদ করতো। কিন্তু এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত। এতে আমরা পিছিয়ে থাকবো কেন।

ভোলা
ভোলার ৫ উপজেলার ১৪ গ্রামের প্রায় তিন হাজার পরিবার ঈদুল ফিতর পালন করছেন। সকাল সাড়ে ৮টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলা টবগী গ্রামে খলিফা মজনু মিয়ার নিজ বাড়ির আঙিনায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। তিনি নিজেই ওই জামাতের ইমামতি করেন।

এছাড়া সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে তজুমদ্দিন উপজেলার ছালাম মেম্বার বাড়ি, আব্দুল্লাহ মাঝি বাড়ি, লালমোহন উপজেলার লাঙ্গলখালীর পশ্চিম পাশে পাটোয়ারী বাড়ির জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভোলা সদর উপজেলার ইলিশা ও রতনপুর গ্রাম, বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ও মুলাইপত্তন গ্রাম, তজুমদ্দিন উপজেলার শিবপুর, খাসেরহাট, চাঁদপুর ও চাঁচড়া গ্রাম, লালমোহন উপজেলার পৌর শহর, ফরাজগঞ্জ গ্রাম এবং চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, দুলারহাট, ঢালচর ও চর পাতিলা গ্রামের প্রায় ৩ হাজার পরিবার প্রতিবছর একদিন আগেই দুই ঈদ উদযাপন করেন।

বরিশাল
বরিশালের ২২ গ্ৰামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বরিশালের বিভিন্ন স্থানের মানুষ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদের জামাত আদায় করেন।

বরিশাল মহানগরীর ২০ গ্ৰামে প্রায় ৩ হাজার পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে সোমবার ঈদ উদযাপন করেছেন। এসব গ্ৰামের বসবাসরতরা চট্টগ্রামের চন্দ্রনাইশ শাহসুফি দরবার শরিফ, সাতকানিয়া মির্জাখালী দরবার শরিফ এবং আহমাদিয়া জামাত (কাদেরিয়া তরিকার) অনুসারী। তাই তারা দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের চেয়ে একদিন আগে রোজা পালন এবং ঈদ উদযাপন করে আসছেন।

বরিশাল নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ড টিয়াখালির বাসিন্দা নাসির চৌধুরী জানান, তারা বরাবরই সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ উদযাপন করেন।

বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তাজকাঠীর হাজি বাড়ির জাহাগিরিয়া শাহসুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি আমীর হোসেন জানান, এ ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাগরদী, তাজকাঠীসহ আশপাশের প্রায় ৫০০ পরিবার আজ ঈদ পালন করছেন।

জেলার হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও মুলাদীসহ বেশ কিছু এলাকা কয়েক হাজার মানুষ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদ উদযাপন করছেন।

দিনাজপুর
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দুটি গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। সকালে দুই গ্রামের মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

জানা যায়, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকেই এসব গ্রামের মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করছেন। বিগত বছরের তুলনায় এবারের জামাতে মুসল্লির উপস্থিতি বেশি হয়েছে।

পিরোজপুর
জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়নের ছয় গ্রামের সাড়ে চার শতাধিক, নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের প্রায় এক শতাধিক ও কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের বেলতলা গ্রামের প্রায় ৫০টি পরিবার সোমবার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।

সকাল ১০টায় মঠবাড়িয়া উপজেলার শাপলেজা ইউনিয়নের ভাইজোড়া গ্রামের খোন্দকার বাড়িতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। কচুবাড়িয়া গ্রামের ফরহাদ মেম্বরের বাড়িতে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাপলেজা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মিরাজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রাম ও আশেপাশের প্রায় একশত পরিবারের শতাধিক নারী পুরুষ রঘুনাথপুর আল আমীন জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের নামাজ  আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা ও স্থানীয় ডা. মো. হুমায়ুন কবির।

কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের বেলতলা গ্রামের ৫০টি পরিবার সৌদী আরবের সাথে মিল রেখে এবার প্রথম ঈদ উদযাপন করছেন। 

জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে সুরেশ্বর (মাওলানা জান শরীফ শাহ ওরফে হযরত মাওলানা শাহে আহম্মদ আলী) সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত মঠবাড়িয়া উপজেলার পূর্ব সাপলেজা, ভাইজোড়া, কচুবাড়িয়া, খেতাছিড়া, চরকগাছিয়া ও বাদুরতলী গ্রামের প্রায় তিন হাজার মানুষ সোমবার ঈদ উদযাপন করছেন। তারা দেড়শ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর উদযাপন করেন বলে জানান তারা।

অন্যদিকে, ২০০৯ সাল থেকে ডা. হুমায়ন কবির নামের এক ব্যক্তি নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ পালনের প্রচলন শুরু করেন। এরপর  পিরোজপুর ও বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলার কিছু মানুষ এখানে ঈদ জামায়াতে অংশ নিতে আসেন। 

নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জের লামাপাড়া, ফতুল্লায় জাহাঁগিরিয়া শাহ্ছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের অনুসারীদের পরিচালিত শাহ্সুফি মমতাজিয়া জামে মসজিদ ও হযরত শাহসুফি মমতাজিয়া হেফজখানা ও এতিমখানা মাঠ প্রাঙ্গণে সকাল ১০টায় একটি ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। ওই জামায়াতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. আনোয়ার হোসেন শুভ।


সর্বশেষ সংবাদ