পেঁয়াজের কেজি ৮ টাকা!

হাটে পেঁয়াজ
হাটে পেঁয়াজ   © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় মানভেদে ৮-২০ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এতে করে উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারদর কম থাকায় বিপাকে কৃষকেরা পড়েছেন। অনেক কৃষক বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি না করেই বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, শুক্রবার সকালে কুমারখালী উপজেলার পান্টি ডিগ্রি কলেজ মাঠে সাপ্তাহিক হাট বসেছে। কৃষকরা জানান প্রতি বিঘায় পেঁয়াজ চাষে ২০-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু মানভেদে ৩৫০-৮০০ টাকা মণ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচই উঠছে না। দাম কম হওয়ায় অনেক কৃষক পেঁয়াজ বিক্রি না করেই ফিরে গেছেন।

এ সময় হাটে থাকা কৃষক, ব্যবসায়ী ও হাট পরিচালনা কমিটির সদস্যরা দাবি করেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়েই চাহিদা মেটানো সম্ভব। সরকারের উচিত ভারতের পেঁয়াজ আমদানি না করা।
কৃষক কামরুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। সার, ওষুধ, বীজ, সেচ, শ্রমিকের দাম সব মিলে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। হাটে পেঁয়াজের দাম কম। খরচের টাকাই উঠছে না।

কাঞ্চনপুর গ্রামের কৃষক চঞ্চল শেখ বলেন, বিক্রির জন্য ২৭ মণ পেঁয়াজ এনেছিলাম। কিন্তু দাম খুবই কম। তাই ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। পেঁয়াজ এত অখাদ্য হয়ে গেছে যে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন : এবার ১০ টাকায় পুরো সপ্তাহের বাজার!

কৃষক করিম উদ্দিন বলেন, ১২ মণ পেঁয়াজ বিক্রির জন্য হাটে এনেছিলাম। কিন্তু দাম নাই। না বেঁচে ফেরত নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ হয়, এতেই দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। তাই সরকারের উচিত ভারতের এলসি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা।

হাটের ইজারাদার এইচ এম আব্দুল্লাহ টিপু বলেন, আজ হাটে ৬-৭ হাজার টন পেঁয়াজের আমদানি হয়েছিল। কিন্তু দাম কম থাকায় অসংখ্য কৃষক বিক্রি না করে ফেরত নিয়ে যান। প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ৮-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, এ বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করা হয়েছে। প্রতি বিঘায় পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকের ২৩-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারদর উৎপাদনের খরচের অনেক কম। এভাবে চলতে থাকলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।


সর্বশেষ সংবাদ