কলেজ ভবনে ৭৫ মৌচাক, অর্ধলাখ টাকার মধু বিক্রি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৩৫ PM , আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৯:০৯ PM
কলেজের পাশ দিয়ে গেলে একেরপর এক মৌচাক চোখে পড়ে। কলেজের ছাত্র-শিক্ষকরা যেমন বিরক্ত করে না মৌমাছিকে, তেমনি মৌমাছিও কাউকে কামড় দেয় না। শেরপুরের নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা কলেজের পুরো ভবনে বসেছে ৭৫টি মৌচাক। কলেজ ভবনের কার্নিশ যেন এখন মৌমাছিদের মিলনমেলা ও নিরাপদ আশ্রয়স্থল। শুধু তা-ই নয়, এসব মৌচাক এখন ওই কলেজের বাড়তি আয়ও জোগাচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত নন মটেও; বিষয়টি আশীর্বাদ হিসেবে দেখছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: হিমেলের পরিবার প্রতিমাসে পাবে ৩০০০০ টাকা
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নকে সরিষার বড় মোকাম বলা হয়ে থাকে। সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় এ মওসুমে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য অধিকহারে এ এলাকায় অবস্থান করছে। প্রতিবছর সরিষার আবাদ বাড়তে থাকায় মৌমাছির সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। তবে সরিষার আবাদ শেষে মৌমাছিগুলোও চলে যায় অন্যত্র।
১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত নকলা উপজেলার কলেজের চারতলা ভবনটি নির্মাণ করা হয় ২০১৮ সালে। এদিকে নকলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে সরিষার আবাদ বেশি হয়ে থাকে। আর সরিষার আবাদ বেশি হওয়ায় শীত মৌসুমে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহের জন্য দলবেঁধে এই এলাকায় অবস্থান করে থাকে। তবে সরিষার আবাদ শেষ হলেও মৌমাছিগুলো অন্যত্র যায় না।
এসব চাক দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে মানুষ। অনেকেই অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে আর অনুভব করে কীভাবে মৌমাছি আর ছাত্র -শিক্ষক সহাবস্থান করে একসঙ্গে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কলেজ কর্তৃৃপক্ষ সত্যিই আনন্দিত যে প্রতিবছর এই সময়ে মৌমাছিরা আমাদের এখানে বাসা বাধে। প্রথমদিকে চন্দ্রকোনা ডিগ্রি কলেজের আশাপাশের লোকজন মৌচাক থেকে বিনামূল্যে মধু সংগ্রহ করে খাঁটি মধুর স্বাদ নিত বা বিক্রি করত। তবে নতুন বছরে কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেরাই মৌচাকগুলোর দেখভাল করছে।
আরও পড়ুন: মেসেঞ্জার চ্যাটের স্ক্রিনশট নিলে জানতে পারবে অপর ব্যবহারকারী
তিনি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ৫২ হাজার টাকার মধু বিক্রি করা হয়েছে। আমরা আশাবাদি আগামী দিনে মৌচাক ও মধুর পরিমাণ বাড়বে। আমরা লক্ষাধিক টাকার মধু বিক্রি করতে পারব।
নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান গেন্দু জানান, এ এলাকায় সরিষার আবাদ বেড়ে যাওয়ায় মৌমাছির দল এসে বিভিন্ন স্থান বাসাবাঁধায় একদিকে এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্য দিকে মানুষের বাড়তি আয়ও হচ্ছে।