৩ বারের জনপ্রতিনিধি

ভোটে ফেল করলেও এসএসসি পাস করেছেন রবি

রবিউল আওয়াল রবি
রবিউল আওয়াল রবি  © সংগৃহীত ছবি

তিনবারের জনপ্রতিনিধি ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য মো. রবিউল আওয়াল রবি। তিনি এবার ৪৩ বছর বয়সে এসএসসি পাস করেছেন। তিনি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটে ফেল করলেও এবার এসএসসি পাশ করেছেন সাবেক ইউপি সদস্য মো. রবিউল আওয়াল রবি।

পড়াশোনা থামানোর ২৯ বছর পর এবার আবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাশ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: জেএসসি-জেডিসির প্রভাব এসএসসিতে, বুক ভেঙেছে অনেকের

রবি জেলার কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনামধু গ্রামের মৃত সোহরাব আলী সরকারের ছোট ছেলে। তিনি ২০২১ সালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ ৪ দশমিক ৬৮ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

তিনি গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে জামতৈল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি একই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর কাছে অল্প কয়েক ভোটে হেরে যান তিনি। ভোটে ফেল করলেও এসএসসি পাশের আনন্দ তার নির্বাচনে হারার কষ্টকে দুর করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিউল আওয়াল রবি তার ৭ ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট। তার দুই ভাই সরকারি চাকরি করে এবং অন্য এক ভাই কৃষি কাজ ও অন্য ভাই স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ ছাড়াও রবি একটানা তিনবার ইউপি সদস্য ছিলেন।

আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষিকার শয়ন কক্ষ থেকে যুবক আটক

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রবি ১৯৯২ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অন্যান্য সব বিষয়ে লেটার পেলেও গণিতে ২৮ নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হন। পরীক্ষায় ফেল আসার কারণে তিনি রাগে আর পরবর্তীতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি।

পরবর্তীতে আবার ৪১ বছর বয়সে এসে নতুন করে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে শহীদুল বুলবুল কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ৪৩ বছর বয়সে এসে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২০২১ সালে পাস করেন।

আরও পড়ুন: জিপিএ-৪.১৭ পেল রামপুরায় বাসচাপায় নিহত মাঈনুদ্দিন

এ বিষয়ে রবিউল আওয়াল রবি জানান, ১৯৯২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সব বিষয়ে খুব ভালো নম্বর পেলেও গণিতে অকৃতকার্য হই। রাগে-কষ্টে আর পরীক্ষা দেইনি। পরবর্তীতে এলাকায় নির্বাচন করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হই। একটানা ৩ বার জনপ্রতিনিধি হয়ে এলাকাবাসীর সেবা করেছি। এর মাঝেই ২ বছর আগে মনে হলো যেহেতু পড়াশোনার কোনো বয়স নেই তাই পড়াশোনাটা শুরু করা উচিত। সেই চিন্তা থেকেই এই পদক্ষেপ।

পাশের এই আনন্দ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পড়াশোনাটা এখন যতটুকু পারি চালিয়ে যাব।


সর্বশেষ সংবাদ