কক্সবাজারে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আটক হয়নি কেউই

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ  © প্রতীকী

কক্সবাজারে এক নারী পর্যটককে গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতে হোটেলে আটকে রেখে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। পর্যটন এলাকার কলাতলীর একটি হোটেলে আটকে রেখে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। দুই দিন পর একটি সিএনজিতে করে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় ১৮ ডিসেম্বর ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হলেও এখনও কেহ গ্রেফতার হয়নি। বরং মামলা তুলে নিতে ধর্ষকরা উল্টো হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা বলে জানা গেছে।

আরওপড়ুন: লঞ্চে আগুন: মালিকসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারে কলাতলী রোডের মামস্ আবাসিক হোটেলে ওই স্কুলছাত্রীকে দুইদিন জিম্মি করে ধর্ষণ করে এক লম্পট। ধরা পড়ার ভয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ মুছে ফেলেছে ওই দিনের সিসিটিভি ফুটেজ।

ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার ছাত্রী জানিয়েছে, পরীক্ষার ফলাফল জেনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ী ফেরার পথে উত্তর নুনিয়ারছড়ার মোহাম্মদ আশিকের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে অপহরণ ওমামস হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। দুই দিন পর রাতে একটি গাড়িতে করে বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসা নেয়ার পর পর ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা করেন। মামলা করার ৮ দিন পরও কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: এমপি-ছাত্রলীগ নেতার আশ্রয়ে বেপরোয়া ধর্ষক আশিক

এ বিষয় জানতে চাইলে মামস আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জানিয়েছেন, ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর এ নামের কেউ তাদের হোটেলে ছিল না। হোটেলটিতে সিসিটিভি থাকলেও ওই তারিখের ফুটেজ ডিলেট হয়ে গেছে।

আরও পড়ুন: কোচিংয়ে দুই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা যাচ্ছেনা দাবি করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো: আব্দুল হালিম জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।


সর্বশেষ সংবাদ