মার্চ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বল্প পরিসরে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি  © সংগৃহীত

নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকেই পুরোপুরি শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলেও আগের মতোই স্বল্প পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করানো হবে। আগামী মার্চ পর্যন্ত যদি সংক্রমণ আর না বাড়ে, তারপর থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর মাতুয়াইলের পাঠ্যপুস্তক ছাপাখানায় কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা জানান।

আরও পড়ুন: জানুয়ারির প্রথম দিন বই উৎসব হবে না: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর থেকে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং কার্যক্রম হিসেবে নতুন কারিকুলাম শুরু করা হবে। এজন্য সারাদেশের ১০০টি স্কুলে এ কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত থাকলেও সেটি কমিয়ে ৬০টি স্কুল নির্বাচন করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন কারিকুলাম পড়ানো হবে।

তিনি বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম পড়ানো সম্ভব নয়। এ কারণে আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের শিক্ষাবর্ষ শুরু করা হবে। নতুন কারিকুলামে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও ভৌগোলিক সব বিষয় যুক্ত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন: একই স্কুলে করোনায় আক্রান্ত ২৯ শিক্ষার্থী

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন পরিস্থিতি আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত মনিটরিং করা হবে। সেটি নিয়ন্ত্রণে থাকলে মার্চ মাসের পর স্বাভাবিক শ্রেণি পাঠদান শুরু করা হবে। এর আগ পর্যন্ত বর্তমান নিয়মে ধাপে ধাপে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হবে। মার্চের আগ পর্যন্ত আমরা বিষয়টি মনিটরিং করবো।’

তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় পহেলা জানুয়ারি বই উৎসব হবে না। তবে ৯৫ শতাংশ বই বেশিরভাগ স্কুলে পৌঁছে যাবে। বাকি ৫ শতাংশ বই জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্কুলগুলোতে পৌঁছে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বাকি ৩ দাবির বাস্তবায়ন চান ঢাবি ছাত্রীরা

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিকের প্রায় সব বই জেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। মাধ্যমিকের ২১ কোটি বই বাঁধাই হয়ে গেছে, বাকি ১৭ কোটিং বেশি বই সরবরাহ করা হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে সব বই বাধাই কাজ শেষ হবে। এরপর স্কুল পর্যায়ে তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ